স্থানীয়দের অভিযোগ, পাহাড় কাটার ফলে পাথর আলগা হয়ে যাচ্ছে। সে রকমই একটি বড় পাথর দীর্ঘ দিন ধরেই হেলে ছিল। এই ঘটনায় রাজসমন্দ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
লক্ষ্মণদাসের স্ত্রী রাজেশ্বরী এবং মেয়ে খুশি।
স্ত্রী এবং তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে বাইকে করে মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন লক্ষ্মণদাস বৈষ্ণব। তাড়াতাড়ি পৌঁছনোর জন্য ঘুরপথে না গিয়ে শর্টকাট রাস্তা ধরেছিলেন তিনি। সেই রাস্তা খনির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। চারপাশে পাহাড় কেটে কেটে পাথর জমা করা ছিল। এক জায়গায় আবার বিশাল বড় পাথরের চাঁই রাস্তার দিকে একটু ঝুঁকে ছিল।
দীর্ঘ দিন ধরে পাথরটি ওই অবস্থাতেই রয়েছে। ওই পাথরের গা ঘেঁষেই রাস্তাটি গিয়েছে। স্ত্রী রাজেশ্বরী এবং মেয়ে খুশিকে নিয়ে ওই রাস্তা দিয়েই বাইকে করে যাচ্ছিলেন। আচমকাই ঝুঁকে থাকা সেই বিশাল পাঁচ টনের পাথরটি ছিটকে লক্ষ্মণদাসের বাইকের উপর পড়ে। পাথরের নীচে লক্ষ্মণদাসের স্ত্রী-মেয়ে দু’জনেই চাপা পড়ে যান। গুরুতর আহত হন লক্ষ্মণ। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের রাজসমন্দে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মণের চার মেয়ে। সবচেয়ে বড়টির বয়স ১৩, তার পরেরটির আট, তৃতীয় সন্তানের বয়স ছয় এবং ছোট মেয়ের বয়স তিন। প্রতি দিনই স্থানীয় একটি মন্দিরে স্ত্রী-মেয়েদের নিয়ে যেতেন লক্ষ্মণ। আর যাওয়ার সময় ওই খনির রাস্তা ধরেই যেতেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাহাড় কাটার ফলে পাথর আলগা হয়ে যাচ্ছে। সে রকমই একটি বড় পাথর দীর্ঘ দিন ধরেই হেলে ছিল। এই ঘটনায় রাজসমন্দ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।