প্রেমিকার বান্ধবীকে ক্যুরিয়ারে হেয়ার ড্রায়ার পাঠিয়েছিলেন অভিযুক্ত যুবক। প্রতীকী ছবি।
কয়েক দিন ধরেই প্রেমিকা তাঁকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। কেন প্রেমিকা এড়িয়ে যাচ্ছেন, তা কিছুতেই বোধগম্য হচ্ছিল না যুবকের। তবে এর জন্য প্রেমিকার বান্ধবীকেই সন্দেহ করা শুরু করেন তিনি। তাঁদের বিচ্ছেদের নেপথ্যে যে প্রেমিকারই বান্ধবী, সেই সন্দেহেই তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করেন যুবক। কিন্তু ফল হয় উল্টো। বান্ধবীর বদলে তাঁর প্রেমিকাই গুরুতর আহত হন।
ঘটনাটি কর্নাটকের বাগালকোটের। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম সিদ্দাপ্পা শিলাবন্ত। তিনি পাথর খাদানে কাজ করেন। বাসব রাজেশ্বরী নামে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে সিদ্দাপ্পার। শশীকলা নামে এক তরুণীর সঙ্গে মাসখানেক আগে বন্ধুত্ব হয় রাজেশ্বরীর।
পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই সিদ্দাপ্পাকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন রাজেশ্বরী। আর এই ঘটনাই তাঁর মধ্যে সন্দেহ বাড়িয়ে তোলে। সিদ্দাপ্পা সন্দেহ করতে শুরু করেন, শশীকলাই তাঁর এবং রাজেশ্বরীর সম্পর্কে ভাঙন ধরিয়েছেন। আর সেই সন্দেহের বশেই শশীকলার বিরুদ্ধে ‘বদলা’ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিদ্দাপ্পা। যে হেতু পাথর খাদানে কাজ করেন, তাই বিস্ফোরক সম্পর্কে একটু-আধটু জ্ঞান রয়েছে সিদ্দাপ্পার। আর সেটিকেই কাজে লাগিয়ে শশীকলাকে তাঁদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষেছিলেন বলে পুলিশের কাছে জেরায় দাবি করেছেন সিদ্দাপ্পা।
একটি হেয়ার ড্রায়ার কিনে আনেন সিদ্দাপ্পা। তার মধ্যে ডিনামাইট লাগিয়ে দেন। তার পর সেটি শশীকলার বাড়ির ঠিকানায় ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠান। গত ১৫ নভেম্বর সেটি সংগ্রহ করেন শশীকলা। ঘটনাচক্রে, ওই দিন ওই সময়েই শশীকলার বাড়িতে ছিলেন সিদ্দাপ্পার প্রেমিকা রাজেশ্বরী। শশীকলা কোনও কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তখন রাজেশ্বরীই সেই পার্সেল খোলেন। বাক্সের ভিতরে হেয়ার ড্রায়ার দেখে সেটি চালু করতেই বিস্ফোরণ হয়। রাজেশ্বরীর হাত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এই ঘটনার পর রাজেশ্বরীর পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ সিদ্দাপ্পাকে গ্রেফতার করে।