—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীর চোখের সামনেই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি ওই তরুণীকে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্যও চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে দম্পতি-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিশ। তাঁদের খোঁজ চলছে।
ঘটনাটি কর্নাটকের বেলগাম জেলার সৌদত্তী এলাকার। অভিযোগকারী তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত যুবক এবং তাঁর স্ত্রী মিলে তাঁকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যান এবং সেখানেই যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণে মদত ছিল যুবকের স্ত্রীরও। তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর গোপন ছবি তুলে নিয়েছিলেন যুবক। সেগুলি দেখিয়ে তাঁকে ভয় দেখানো হয়। অভিযোগ, দম্পতির উদ্দেশ্য ছিল তরুণীর ধর্ম পরিবর্তন করানো।
তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁকে জোর করে বোরখা পরানো, সিঁদুর পরতে না দেওয়া এবং দিনে পাঁচ বার করে নমাজ পড়তে বাধ্য করা হত। সে সব করতে রাজি না হলে গোপন ছবি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দিতেন ওই দম্পতি। অভিযোগ, ক্রমাগত তরুণীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হত। এমনকি, গত বছর যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন বলেও দাবি করেছেন তরুণী। তিনি জানান, তিনি নিচু জাতের বলে তাঁকে ধর্ম পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, ওই দম্পতি ধর্ম পরিবর্তন না করলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দম্পতি-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। তাঁদের খোঁজ চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ ছাড়াও ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।