অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিশোরীকে ধর্ষণের পর তার গলায় ছুরির কোপ বসিয়েছিলেন বছর ছাব্বিশের এক যুবক। কিশোরী মরে গিয়েছে এই অনুমান করে তার ‘দেহ’ ব্যাগে ভরে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসেন। ঘটনার পর দিন প্রায় বিবস্ত্র এবং রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসে কিশোরী। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে। ঘটনাটি অসমের কাছাড় জেলার।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩ অক্টোবর বাড়ির কাছেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে গিয়েছিল কিশোরী। সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। রাত হয়ে যাওয়ায় বাড়ি না ফেরায় কিশোরীর পরিবার পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করে।
কিন্তু ৪ অক্টোবর বিকেলের দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসে কিশোরী। তার পর সব ঘটনা সে মা-বাবাকে জানায়। তার মুখে সব শোনার পর অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। ৬ অক্টোবর তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, কিশোরীকে প্যান্ডেল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ধর্ষণ করেন ওই যুবক। তার পর তাকে খুনের চেষ্টা করেন। এর পরই প্রমাণ লোপাটের জন্য কিশোরীকে একটি ব্যাগে ভরে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসেন। কিন্তু কিশোরী কোনও রকমে সেই ব্যাগ থেকে নিজেকে মুক্ত করে বাড়ি ফিরে আসে।
পুলিশের কাছে অভিযুক্ত যুবক দাবি করেছেন, কিশোরী তাঁর প্রেমিকা। পুজোর প্যান্ডেলে অন্য কারও সঙ্গে ঘুরতে দেখে রাগ চেপে গিয়েছিল তাঁর। তবে ধর্ষণ এবং খুনের চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। যদিও পুলিশ সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে।