Mohun Bhagabat

‘বর্ণপ্রথা’ এবং ‘জাতিভেদ’ সামাজিক বৈষম্য বাড়াচ্ছে, অবসান ঘটাতে সরব হলেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত

বর্ণ এবং জাতিব্যবস্থার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে ভাগবত বলেন, “কেউ যদি বর্ণ এবং জাতির মতো প্রাচীন প্রতিষ্ঠানগুলির প্রসঙ্গ তোলেন, তবে উত্তর দিতে হবে যে, এগুলি অতীত হয়ে গিয়েছে। এগুলি ভুলে যান।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নাগপুর শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২ ১২:১৬
Share:

সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। ফাইল চিত্র।

বর্ণ এবং জাতির ধারণা সম্পূর্ণ ভাবে অবলুপ্ত হওয়া উচিত। নাগপুরে একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর কথায়, “বর্ণব্যবস্থার কোনও প্রাসঙ্গিকতাই এখন আর নেই।” ভাগবতের দাবি, বর্ণপ্রথা দেশে বৈষম্যের সৃষ্টি করছে। তাই নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “যা কিছু বৈষম্য সৃষ্টি করে, সে সব কিছুকেই বাতিল ঘোষণা করা উচিত।”

Advertisement

শুক্রবার ‘বজ্রসূচি টাঙ্ক’ নামে একটি বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন তিনি। এই বইয়ের লেখক হলেন মদন কুলকার্নি এবং রেণুকা বোকারে। এই বইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়েই বর্ণ এবং জাতিপ্রথার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন ভাগবত। তিনি জানান, ভারতের সংস্কৃতির মধ্যেই সামাজিক ঐক্যের ধারণা নিহিত রয়েছে। কিন্তু বর্ণ এবং জাতিপ্রথার কারণে দেশের সামাজিক ঐক্য বিনষ্ট হচ্ছে।

বর্ণ এবং জাতিব্যবস্থার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে ভাগবত বলেন, “কেউ যদি বর্ণ এবং জাতির মতো প্রাচীন প্রতিষ্ঠানগুলির প্রসঙ্গ তোলেন, তবে উত্তর দিতে হবে যে, এগুলি এখন অতীত হয়ে গিয়েছে। তাই এগুলি ভুলে যান।” ভাগবতের দাবি, সব দেশেই পূর্বপুরুষরা কিছু ভুল করে যান। তেমনই ভারতের বর্তমান প্রজন্মও পূর্বপুরুষদের ভুলগুলি বুঝতে পেরে সেগুলি সংশোধন করে নেবেন। সঙ্ঘের এমন বক্তব্য অবশ্য নতুন কিছু নয়। আগেও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ জাতপাতহীন ‘অখণ্ড ভারতীয় সমাজ’ গঠনের কথা বলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement