প্রতিবেশীর সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ‘প্রতিশোধ’ নিতে সেই প্রতিবেশীরই সাত বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার একটি জঙ্গল থেকে শিশুটির দেহাংশ উদ্ধার হতেই হুলস্থুল পড়ে যায়। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সতনা জেলার।
সতনার এসডিপিও আশিস জৈন জানিয়েছেন, গত ১৭ নভেম্বর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। শিশুটিকে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবার একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণের মামলাও দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ হয় পড়শি রাজেশ রজকের উপর। তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ।
এসডিপিও জানিয়েছেন, এর পরই রজককে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করতেই তাঁর কথার মধ্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তার পরই রাজেশকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই অপরাদের কথা স্বীকার করেন।
পুলিশ জানিয়েছে জেরায় রাজেশ স্বীকার করেছেন, পড়শি এক ব্যক্তির সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তিনি সেই সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার বহু চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনও ভাবেই সেই সম্পর্ক ভাঙতে পারেননি। তাই পড়শিকে ‘শিক্ষা’ দিতে তাঁর সাত বছরের মেয়েকে অপহরণ করেন। তার পর তাকে ধর্ষণের পর খুন করে জঙ্গলে দেহ ফেলে দেন।
রবিবার রাজেশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(ধর্ষণ), ৩০২ (খুন) এবং পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।