প্রতীকী ছবি।
চোর সন্দেহে এক কিশোরীর গলা কেটে খুন করার পর তার দেহ বাড়িতে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল হরিয়ানার গুরুগ্রামে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে কিশোরীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। চোর সন্দেহে কিশোরীকে খুনের যে অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগ আদৌ সত্যি কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। না কি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে, তা-ও দেখা হচ্ছে বলে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামের শিখোরা গ্রামে। ওই গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত কিশোরী। বাড়ির কাছেই সকলের ব্যবহারের জন্য একটি শৌচালয় রয়েছে। কিশোরীর পরিবারের দাবি, ওই শৌচালয়ে সাবান ফেলে এসেছিল কিশোরী। রবিবার রাত ৯টা নাগাদ ওই শৌচালয় থেকে সেই সাবান আনতে গিয়েছিল সে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষণ সময় কেটে যাওয়ার পরও বাড়িতে না ফেরায় কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
কিশোরীর বাবার দাবি, যখন খোঁজাখুঁজি চলছিল, সেই সময় ওই শৌচালয়ের বাইরেই প্রতিবেশী যুবক বাহাদুরকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। কিশোরীকে দেখেছেন কি না বাহাদুরের কাছে জানতে চান স্থানীয় কয়েক জন। তখন বাহাদুর জানান, কিশোরীকে দোকানের দিকে যেতে দেখেছেন। কিন্তু বাহাদুরকেই সন্দেহ হয় কিশোরীর বাবা জ্ঞানী থাপার। স্থানীয়দের তিনি আর্জি জানান, বাহাদুরের ঘরে তল্লাশি নেওয়া হোক। এ কথা শুনে বাহাদুর প্রতিবাদ জানান। কিন্তু তাঁর বাড়িতে স্থানীয়রা জোর করে ঢুকে তল্লাশি শুরু করতেই কিশোরীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। কিশোরীর দেহ একটি কম্বলে জড়িয়ে রাখা ছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, কিশোরীর দেহ লোপাটের চেষ্টায় ছিলেন বাহাদুর। কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কিশোরীকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে।