মদের বোতল এবং ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আঘাত করা হয় যুবককে। —প্রতীকী চিত্র।
দুই বন্ধু আইপিএলে দু’টি পৃথক দলকে পছন্দ করেন। এক বন্ধু ব্যাটার রোহিত শর্মার ভক্ত। অন্য জন বিরাট কোহলির। কার দল ভাল এ নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়েছিল তাঁদের। এক জন বিরাট এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে নিয়ে ‘কুকথা’ বলায় রাগের মাথায় তাঁকে খুন করলেন অপর বন্ধু। তামিলনাড়ুর আরিয়ালুরের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম পি ভিগনেশ। তাঁকে খুনে অভিযুক্ত হয়েছেন ধর্মরাজ। দু’জনের বয়স পঁচিশের কোঠায়। সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার ধর্মরাজ এবং ভিগনেশ বাড়ির কাছে একটি জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। পানাহার করতে করতে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করছিলেন তাঁরা। পুলিশ এ-ও জানায়, আরসিবি বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের খেলা থাকলে ম্যাচের শেষে পার্টি করতেন দুই বন্ধু। যাঁর সমর্থন করা দল হেরে যেত, তাঁকে খাবার এবং মদ কিনতে হত।
মঙ্গলবারও পার্টি করছিলেন ওই দুই বন্ধু। পানীয়ের গ্লাস হাতে ম্যাচ নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে করতে কথা কাটাকাটি শুরু হয় দু’জনের। ভিগনেশ আরসিবি এবং বিরাট কোহলিকে নিয়ে মজা করেন। কিন্তু বিরাটকে নিয়ে টিপ্পনী একেবারেই মানতে পারেননি ধর্মরাজ। প্রথমে মদের বোতল দিয়ে বন্ধুকে আঘাত করেন ধর্মরাজ। তার পর বন্ধুকে ব্যাট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন তিনি। রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভিগনেশের।
বন্ধুর মৃত্যুর পর কী করবে ভেবে পাননি ধর্মরাজ। কিছু ক্ষণ পরে একটি ফাঁকা জায়গায় নিথর দেহ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। ভিগনেশের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। মৃতের মোবাইল ফোন ঘেঁটে পুলিশ জানতে পারে ধর্মরাজের সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি কথা হত ভিগনেশের। পাকড়াও করা হয় অভিযুক্তকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি ওই যুবক চাকরির জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।