প্রতীকী ছবি।
দাদার বিয়ের জন্য পছন্দ করা তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন ভাই। আর সেই তরুণীকে বিয়ে করতে চেয়ে দাদাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নিতিন। গত ১৭ অক্টোবর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। ১৯ অক্টোবর গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি নির্জন জায়গায় গাছ থেকে নিতিনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, ভোঁতা এবং ভারী কোনও বস্তু দিয়ে নিতিনের মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। জ্ঞান হারালে তাঁকে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু নিতিনকে কে বা কারা মারল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। পুলিশও কোনও রকম সূত্র খুঁজে পাচ্ছিল না। তাই প্রাথমিক ভাবে নিতিনের ভাই লল্লনকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তাঁর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করা হয়। তখন তদন্তকারীরা দেখেন বেশ কিছু মেসেজ মুছে ফেলা হয়েছে। সেই মেসেজগুলি পুনরুদ্ধার করতেই এক তরুণীর সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
ওই তরুণী কে, কোথায় থাকেন তা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, যে তরুণীর সঙ্গে লল্লনের প্রায়ই কথা হত, সেই তরুণী আর কেউ নন, লল্লনের দাদা নিতিনের জন্য পছন্দ করা পাত্রী। তাঁর সঙ্গেই নিতিনের বিয়ে স্থির হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় লল্লন দাবি করেছেন, দাদার কাছ থেকে হবু বৌদির ফোন নম্বর নিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রায়ই কথা বলতেন, মেসেজ পাঠাতেন। ওই তরুণীও নিতিনের পাশাপাশি লল্লনের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা শুরু করেন। লল্লন হবু বৌদির প্রেমে পড়েন। তাঁকে বিয়ে করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু নিতিন পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ানোয়, তাঁকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। দাদাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে লাঠি দিয়ে আধমরা করেন, তার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গাছে ঝুলিয়ে দেন। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করার পরই লল্লনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।