বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর কন্যাকে। —প্রতীকী ছবি।
বিবাহ -হির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বাবা। এ কথা জানার পরই সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সুপারি দিয়ে বাবাকে খুন করালেন কন্যা। এমনই অভিযোগ উঠেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ভিওয়াপুরের। নিহত ৬০ বছরের বৃদ্ধ দিলীপ সোনতাক্কে। গত ১৭ মে বাইকে করে ৩ দুষ্কৃতী এসে ওই বৃদ্ধকে কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বৃদ্ধের কন্যার যোগের কথা শুক্রবার প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আততায়ীরা বৃদ্ধের কাছ থেকে ৩৮ হাজার টাকা লুটও করেন। তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিশের মনে হয় যে, টাকা লুটের জন্য বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে। পরে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আততায়ীদের আটক করে পুলিশ। তাঁদের জেরা করেই এই খুনের ঘটনার রহস্যভেদ করেন তদন্তকারীরা।
খুনের পরও তদন্ত নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি বৃদ্ধের পরিবারকে। যা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল তদন্তকারীদের মধ্যে। পরে তদন্তে করে পুলিশ জানতে পারে যে, এক মহিলার সঙ্গে ওই বৃদ্ধের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। একটি ফ্ল্যাটে তাঁরা সহবাসও করতেন। ওই মহিলাকে বৃদ্ধ তাঁর সম্পত্তি দিতে পারেন— এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁর কন্যা প্রিয়া কিশোর মহুরতালে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রিয়া প্রতিবন্ধী। সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কাতেই বাবাকে খুনের ছক কষেন তিনি। বাবাকে খুনের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সুপারি কিলার নিয়োগ করেন।
অভিযুক্ত কন্যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় খুনের কথা তিনি স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।