প্রতীকী ছবি।
নিজের সন্তানদের সামনে স্ত্রী এবং শাশুড়িকে খুন করে তাঁদের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শেষে নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার ঢালাই জেলায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা গত ৪ মাস ধরে দুই সন্তানকে নিয়ে বাপেরবাড়িতে থাকতেন। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, সম্পর্কের টানাপড়েনই খুনের কারণ হতে পারে।
জেলার পুলিশ আধিকারিক আশিস দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ঘরের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। কী কারণে তিনি খুন করলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।
এক প্রতিবেশী জানান, হঠাৎই ওই মহিলার বাড়ি থেকে শিশুদের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পান। কী হয়েছে তা দেখার জন্য ওই বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ‘‘বাড়িতে ঢুকেই দেখি দু’টো ছিন্নভিন্ন দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পাশেই দু’টি শিশু বসে কাঁদছে।’’ এত ভয়ানক একটা দৃশ্য দেখে তিনি আঁতকে উঠেছিলেন বলে জানান ওই প্রতিবেশী। তিনিই পাড়া-প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’টি দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অন্য একটি ঘর থেকে অভিযুক্তের অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই শিশুকে ঢালাই শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্তকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস-এর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে।