— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ক্রমাগত পণের দাবিতে মৃত্যু হয়েছিল তরুণীর। সেই মামলা চলছিল আদালতে। শুনানির সময় নিজের গলাতেই ব্লেড চালালেন অভিযুক্ত। উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডা আদালতের ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। এ সবের কারণে আদালতে ওই মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শিবম সিংহ। গ্রেটার নয়ডার পাওলি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। শিবমের বাড়িতে তাঁর স্ত্রীর দেহ মেলায় তরুণীর পরিবার থানায় অভিযোগ করে। ২০২২ সালের মার্চে শিবমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৯৪বি (পণের কারণে মৃত্যুর) ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। শিবমের ভাইকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি জামিন পান।
শুক্রবার সুরজপুরে জেলা আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছিল। অভিযোগকারীর বয়ান রেকর্ড করার কথা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, তখনই পকেট থেকে ব্লেড বার করে নিজের গলা কাটেন শিবম। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। শিবমের একটি মেয়েও রয়েছে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে সে মামাবাড়িতে থাকে। এর আগেও জেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন শিবম। পুলিশকে জানিয়েছিলেন, সকলে তাঁকে খুনি মনে করে। তাই তিনি বাঁচতে চান না।