দু’জনে প্রায় একই সময়ে হাজির রইলেন সংসদে। কথা তো দূর, দু’জনে দেখাও হল না।
সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এ নিয়ে প্রথমে গুঞ্জন ছড়ালেও সন্ধ্যার পরে কেটে গেল সব মেঘ। জানা গেল, মমতার দূত হিসেবে দীনেশ ত্রিবেদী পৌঁছনোর আগেই সনিয়া সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে যান। রাতে সনিয়া নিজেই মমতার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। পরে ঠিক হয়, বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসবেন সনিয়া-মমতা। রাহুল গাঁধী সেখানে থাকবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
মমতা চান, তাঁর প্রস্তাবিত ফেডারাল ফ্রন্টকে সমর্থন করুক কংগ্রেস। রাহুল চান, কংগ্রেসের নেতৃত্বেই বিরোধী ফ্রন্ট গড়ে উঠুক। মতভেদ থাকলেও কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করেন, বিজেপির মোকাবিলায় মমতাকে সঙ্গে রাখা জরুরি। কারণ বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হলে সুবিধা নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদেরই।
মমতা-শিবিরের বক্তব্য, রাহুল যদি শরদ পওয়ারের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে পারেন, তা হলে মমতা দিল্লি থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে কেন দেখা করতে পারেন না? অখিলেশ যাদব শত্রুতা ভুলে মায়াবতীর সঙ্গে দেখা করছেন। তা হলে রাহুলের সমস্যা কোথায়?
কংগ্রেসের যুক্তি, রাহুল যদি বিরোধী জোট গড়তে গিয়ে এক এক রাজ্যে এক এক দলকে ছাড় দেন, তা হলে কংগ্রেসের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে। মমতাকে পাশে চাওয়ার অর্থ কিন্তু কোনও ভাবেই আত্মসমর্পণ করা নয়।