পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
ত্রিপুরার হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে সরব তৃণমূলের সাংসদরা। সেই পরিস্থিতিতেই সোমবার বিকালে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চার দিনের সফরে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মমতার। তাঁর উপস্থিতি মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন রাজনৈতিক জগতের পরিচিত মুখ। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বেদের সঙ্গে মমতার বৈঠকও হওয়ার কথা রয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর দু’টো নাগাদ সুধীন্দ্র কুলকার্নি এবং জাভেদ আখতারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কবি-সুরকার জাভেদ বিজেপি বিরোধী মুখ হিসাবে দেশে পরিচিত। তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। পাশাপাশি সুধীন্দ্রও রাজনৈতিক জগতের পরিচিত মুখ। অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং লালকৃষ্ণ আডবাণীর জমানায় বিজেপি-র সদস্য ছিলেন কুলকার্নি। সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত লেখেন তিনি।
সুধীন্দ্র এভং জাভেদের সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা বৈঠক করবেন ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের প্রাক্তন অফিসার পবম বর্মার সঙ্গে। বিকাল ৩টে নাগাদ তাঁর সঙ্গে বৈঠকের কথা। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের উপদেষ্টা ছিলেন পবন। রাজ্যসভার সাংসদও হয়েছিলেন তিনি।
বিকাল পৌঁনে ৫টায় মমতার বৈঠক কীর্তি আজাদের সঙ্গে। কংগ্রেস নেতা কীর্তি মঙ্গলবারই মমতার উপস্থিতিতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে রাজধানীর অন্দরমহলে। ২০১৯ সালে বিজেপি ছে়ড়ে কংগ্রেসে এসেছিলেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। কংগ্রেস তাঁকে ধানবাদ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করলেও জিততে পারেননি তিনি। বিকাল ৫টায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অশোক তানওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মমতা। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তানওয়ারেরও। তিনি রাহুল গাঁধীর ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত রাজনৈতিক মহলে।