মমতার উপস্থিতিতেই তৃণমূলে যোগ দিলেন কীর্তি আজাদ। নিজস্ব চিত্র।
জল্পনা ছিল। সেই জল্পনা সত্যি করেই তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ। তৃণমূলে যোগ দিয়ে কীর্তি বললেন, ‘‘বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াই করব। দেশে এখন মমতার মতোই নেত্রী চাই। ওঁর নেতৃত্বে মানুষের জন্য কাজ করব।’’ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন কীর্তি। মমতার হাত থেকে উত্তরীয় নিলেন কীর্তি। উপস্থিত ছিলেন ডেকের ও’ব্রায়েন-সহ তৃণমূলের অন্য নেতারা।
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি।
চার দিনের সফরে দিল্লিতে রয়েছেন মমতা। থাকছেন অভিষেকের বাসভবনে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করে বৃহস্পতিবার রাজ্যে ফেরার কথা তাঁর।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভগবৎ ঝা আজাদের পুত্র কীর্তি। ১৯৮৩ সালের কপিল দেবের নেতৃত্বে যে ভারতীয় ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ জয়ী হয়, তিনি ছিলেন সেই দলের অন্যতম সদস্য। ছ’বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে ৭টি টেস্ট ম্যাচ এবং ২৫টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৮৬ সালে শেষ আন্তর্জাতিক এক দিনের ক্রিকেট খেলেন কীর্তি। পরে বাবাকে অনুসরন করে রাজনীতিতে আসেন। ভগবৎ ছিলেন কংগ্রেস নেতা। কীর্তি বিজেপি থেকেই তাঁর রাজনৈতিক সফর শুরু করেন।
দ্বারভাঙা থেকে দু’বার বিজেপির টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন কীর্তি। যদিও পরে বিজেপি থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বিরুদ্ধে দিল্লির ক্রিকেট বোর্ড এবং জেলা ক্রিকেটে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন কীর্তি। তার জেরেই ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। পরে ২০১৯ সালে কংগ্রেসের টিকিটে ধানবাদ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হলেও জিততে পারেননি কীর্তি। এ বার জোড়া ফুলে নতুন ইনিংসের অপেক্ষায় তিনি।