তিনিই কি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রধান বিরোধী মুখ? সেটা সময় বলবে। ছবি : টুইটার থেকে।
তিনিই কি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রধান বিরোধী মুখ? সেটা সময় বলবে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, ‘মুখ’ যিনিই হোন, তাঁর ব্যাপারে বিরোধী দলগুলির নির্বাচনের আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া উচিত। নির্বাচনের পরে নয়। এ ব্যাপারে দিল্লির এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন মমতাকে। তাতে মমতার জবাব, ‘‘প্ল্যানিং তো পহলে সে হি হোনা চাহিয়ে না!’’ অর্থাৎ পরিকল্পনা আগেই হওয়া উচিত।
বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর মঙ্গলবার প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে অবশ্য কলাইকুণ্ডায় ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের ত্রাণের হিসেব দিয়ে মোদীর সঙ্গে একবার দেখা করেছিলেন মমতা। কিন্তু সেই সাক্ষাৎ ছিল স্বল্পস্থায়ী। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হয় তাঁদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক। বেরিয়ে মমতা বলেন, ‘‘সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। জয়ের পর আসতেই হত। তাই এসেছি।’’ একই সঙ্গে বিরোধীদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথাও জানান মমতা। জানান, বুধবার বিকেলে সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক আছে তাঁর। সনিয়াই তাঁকে চা খাওয়ার নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আবার কেজরীবাল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন বলেও জানান মমতা। এরপরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি মনে করেন বিরোধী দলগুলির আগে থেকেই মোদীর বিরোধী মুখ ঠিক করে ২০২৪ সালের লড়াইয়ে নামা উচিত? নাকি নির্বাচন লড়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। জবাবে মমতা বলেন, লোকসভা নির্বাচন এখনও দেরি আছে। তবে তিনি মনে করেন পরিকল্পনা আগে থেকেই হওয়া উচিত।
মমতার সঙ্গে মোদীর বৈঠকের আগে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘কেন্দ্রবিরোধী শক্তিগুলিকে একজোট করাই এই সফরের লক্ষ্য। বিজেপি-র বিরুদ্ধে অবিজেপি ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন মমতা।’’ সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়েও প্রশ্ন করা হয় মমতাকে। জানতে চাওয়া হয় ২০২৪ সালের লোকসভার কথা মাথায় রেখে তিনি যে বিরোধী দলগুলিকে নিজেদের স্বার্থ সরিয়ে রেখে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন, তা কি সফল হবে বলে মনে করেন তিনি? জবাবে মমতা বলেন, ‘‘আমার মনে হয় এটা অটোমেটিক্যালিই হবে।’’ অর্থাৎ তাঁর আহ্বান এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়, এমনিতেই মোদী-বিরোধীরা একজোট হবেন।