—ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ও সিপিএমের ‘গুন্ডামি’র জন্য সোমবারের বিরোধী দলের বৈঠকে না-আসার ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা শুনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মমতার ‘আঁতাত’-এর অভিযোগই তুলেছেন রাজ্যের কংগ্রেস ও বাম নেতারা। কিন্তু দিল্লির ঘটনায় নয়া মোড় দিল বিজেপি। তাদের অভিযোগ, আসলে পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোট পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেই বাকিদের টক্কর দিচ্ছেন মমতা।
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, মমতা গোড়া থেকেই বন্ধের বিরোধী। কিন্তু যে জন্য বাম-কংগ্রেস এই বন্ধ ডেকেছে, তা তিনি সমর্থন করেন। প্রতিবাদের নামে তারা যে পথ নিয়েছেন, তা জন-বিরোধী। তাই তাকে সমর্থন করা হয়নি। আর শুধু মমতাকে বিঁধেই ক্ষান্ত হয়নি বিজেপি। নয়া নাগরিকত্ব আইনকে সামনে রেখে মুসলিম ভোট পেতে মমতার পাশাপাশি কংগ্রেস, আপ, সমাজবাদী পার্টি, বাম নেতারাও নেমে পড়েছেন বলে আজ যুক্তি সাজাল নরেন্দ্র মোদীর দল। কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর সফরের ঠিক এক দিন আগে।
আজ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বিরোধী নেতাদের নাম নিয়ে বলেন, ‘‘আসলে তোষণের টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেমেছেন সকলে। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের নামে ধর্মের নামে বিভাজন তাঁরাই করছেন। হাতেনাতে সকলের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে।’’
আরও পড়ুন: অর্থনীতির হাল নিয়ে নির্মলাকে ‘উদ্বেগ’ জানালেন কর্মীরা
কী সেই প্রমাণ? বিজেপির মতে, ‘‘নরেন্দ্র মোদী ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর কথা বলেন। আর বঙ্গে মুসলিম ভোট যাতে ভাগ না-হয়, সে জন্য মমতা তোষণের রাজনীতি করছেন। এত দিন যাঁরা খুড়তুতো, মাসতুতো ভাই ছিলেন, এখন সেই কংগ্রেস-সিপিএমের মুখোশ খুলছেন। মমতা বলছেন, দরকার হলে একাই লড়বেন।’’ সম্বিত বলেন, ‘‘এমনিতেই কংগ্রেসে ভাই-বোনে প্রতিযোগিতা চলছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে যাঁরা গুলি চালিয়েছে, আগুন লাগিয়েছে, তাদের পেনশন দেওয়ার কথা বলছেন অখিলেশ যাদবের দলের নেতা। আর প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা নিহতদের ‘শহিদ’-এর মর্যাদা দিতে চান।’’
বিজেপির অভিযোগের জবাবে আজ বারাণসীতে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘এক বার ছাত্রদের সঙ্গে কথা বললে বুঝবেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলেন। সংবিধান বাঁচানোর জন্য লড়াই করছিলেন। এ দেশে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার নেই?’’