Mamata Banerjee

মমতার প্রিয়ঙ্কা-প্রস্তাব অগ্রাহ্য করা নিয়ে প্রশ্ন

বারাণসীতে এ বার মোদীর জয়ের ব্যবধান পাঁচ লক্ষ থেকে কমে দেড় লক্ষ হয়েছে। এমনকি, প্রথম রাউন্ডের গণনার পরে এক সময় পিছিয়েও থাকতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪ ০৮:১৬
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা বারাণসী থেকে ভোটে লড়লে ২-৩ লক্ষ ভোটে নরেন্দ্র মোদীকে হারাতেন বলে মঙ্গলবার দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী। আর আজ তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ঠিক এই প্রস্তাবই গত ১৯ ডিসেম্বর দিল্লির ‘ইন্ডিয়া’ বৈঠকে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন কংগ্রেস কর্ণপাত করেনি, উল্টে ভেবেছিল তৃণমূল প্যাঁচ কষছে।

Advertisement

বারাণসীতে এ বার মোদীর জয়ের ব্যবধান পাঁচ লক্ষ থেকে কমে দেড় লক্ষ হয়েছে। এমনকি, প্রথম রাউন্ডের গণনার পরে এক সময় পিছিয়েও থাকতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। আজ তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত ডিসেম্বরে ‘ইন্ডিয়া’-র মূল বৈঠকের আগে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে চা-চক্রে মমতা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার নামটি সামনে আনেন। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমার এক জন প্রার্থী রয়েছে বারাণসীতে। তাঁর নাম প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তিনি দাঁড়ালে আমরা সবাই সেখানে প্রচার করব এবং মোদীকে হারানো সম্ভব হবে। আজ ফলাফল প্রকাশের পরে রাহুলকে এই কথা বলতে হচ্ছে। আমাদের প্রশ্ন, চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে! এই সিদ্ধান্ত আগে নিতে কে বারণ করেছিল!”

প্রসঙ্গত, রাহুল আজ ওয়েনাড়ে গিয়েও বলেছেন, নির্বাচন কমিশন মোদীর সুবিধা মতো নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করেছিল, যাতে সব জায়গায় প্রচারের শেষে বারাণসীতে ভোট হয়। তা সত্ত্বেও মোদী কোনও মতে বারাণসীতে জিততে পেরেছেন।

Advertisement

তৃণমূলের তরফে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ১৯৮৪ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে সিপিএমের সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো দুঁদে প্রার্থীর বিরুদ্ধে রাজনীতিতে প্রায় নবাগতাকে দাঁড় করানোর বাজি ধরেছিলেন রাজীব গান্ধী। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব, “আজকের বিরোধী জাতীয় রাজনীতিতে একটাই নিয়ম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ মেনে চলুন। তিনি বলেছিলেন, তেইশের অগস্ট মাসের মধ্যে ‘ইন্ডিয়া’-র আসন সমঝোতা সেরে ফেলে ময়দানে ঝাঁপাতে। তাঁর কথা শুনে যদি বাংলায় কংগ্রেস দু’টি আসনে রফা করত, বিজেপির সংখ্যা রাজ্যে আরও কমত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement