দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মমতা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
বিজেপি-কে রুখতে হলে বিরোধীদের একজোট হতে হবে বলে বার্তা দিয়েছিলেন একুশের মঞ্চেই। দিল্লিতে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক সেরেও একই বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ২০২৪-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে হারাতে হলে সব বিরোধী দলগুলিকে একজোট হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সনিয়ার সঙ্গে জোট নিয়ে ‘সদর্থক’ আলোচনা হয়েছে বলে জানালেও, বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা প্রয়োজন বলে সেখানে মন্তব্য করেন মমতা।
বুধবার কংগ্রেস সভানেত্রী এবং রাহুল গাঁধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মমতা। বিজেপি বিরোধী জোটে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন কি না, তাঁর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি-কে হারাতে হলে সকলকে একজোট হয়ে লড়তে হবে। একা আমি কিছু করতে পারব না। আমি লিডার নই, ক্যাডার। আমি স্ট্রিট ফাইটার।’’
বুধবার ১০ নম্বর জনপথে সনিয়ার সঙ্গে রাহুলও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে চায়ের আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন সনিয়াজি। রাহুলজিও ছিলেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কথা হয়েছে পেগাসাস এবং কোভিড নিয়েও। ভবিষ্যতে ইতিবাচক ফল বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী আমি।’’
ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে বুধবারও উত্তাল ছিল সংসদের বাদল অধিবেশন। সেখানে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হতে দেখা গিয়েছে। বিজেপি-র অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে সংসদের অধিবেশন বানচাল করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মমতার প্রশ্ন, ‘‘সরকার পেগাসাস নিয়ে জবাব দিচ্ছে না কেন? মানুষ তো জানতে চাইছেন। সংসদে আলোচনা হেব না তো কোথায় হবে? চায়ের দোকানে? এটা কি চায়ের দোকানে আলোচনার বিষয়? সংসদে জবাব দিতে হবে সরকারকে।’’