বিকেল ৫টা নাগাদ সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ত্রিপুরার পুরভোটের আগের পরিস্থিতি নিয়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলেন জানালেন মমতা। তাঁর কথা, ‘‘সায়নীর মতো জনপ্রিয় শিল্পীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে।’’
মমতা বলেন, ‘‘রাজ্যের উন্নতি হলেই কেন্দ্রের উন্নতি হবে। রাজনৈতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন সম্পর্ক এক নয়। ’’
মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।’’ আগামী বছর এপ্রিল মাসে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর বসবে কলকাতায়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়েই কথা হয়েছে। মমতা বলেন, ‘‘আমপান-সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ নিয়ে কথা হয়েছে। প্রায় ৯৬ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে পায় রাজ্য। বিএসএফ-এর কাজ সীমান্ত সামলানো। কিন্তু এ দিকে গুলি চালাচ্ছে। বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে কথা হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত করা উচিত নয়। রাজ্যের সাহায্য চাইলে রাজ্য সাহায্য করতে প্রস্তুত। এ ছাড়াও করোনা টিকাকরণে জন্য আরও টিকা লাগবে। তা জানিয়েছি। ১২-১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ নিয়ে কথা হয়েছে। বাংলার পাটশিল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই বৈঠকের সঙ্গে রাজ্যের কোনও সম্পর্ক নেই। ব্য়ক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থে এই মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন মমতা।’’
মোদী-মমতা সাক্ষাৎ নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে কী ভাবে আরও ভাঙা যায়, মমতাকে হয়তো হয়তো সেই পরামর্শই দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিএসএফ নিয়ে যখন রাজ্যের বিধানসভায় আলোচনা হল, তখন মমতা তো তাতে অংশ নেননি। মোদীর সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আলাদা ভাবে কথা বলাতেই ওঁর সুবিধে রয়েছে।’’
সূত্রের খবর, সময় মতো বিকেল ৫টা নাগাদই শুরু হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক।
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে বুধবার বিকেল ৫টার একটু আগে সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে এসে পৌঁছলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মোদী-মমতা বৈঠকে উঠে আসতে পারে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি, জিএসটি-সহ রাজ্যের পাওনা বকেয়া টাকার প্রসঙ্গ।