ছত্তীসগঢ়ের সুকমা জেলায় সিআরপি-র উপরে হামলার পরে মাওবাদী দমনের রণকৌশল পর্যালোচনা করতে আগামী ৮ মে বিশেষ বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ‘মাওবাদী অধ্যুষিত’ দশটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে। বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়ের পাশাপাশি বৈঠকে ডাক পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। রাজনাথের বৈঠকে থাকছেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নিজে না এলেও রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে কোনও আমলাকে পাঠাতে পারেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, গত তিন বছরে পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদী হামলা হয়নি ঠিকই। কিন্তু এই রাজ্যে যে হেতু মাওবাদী হানার পূর্ব ইতিহাস রয়েছে, তাই পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনাথ চাইছেন রাজ্যগুলির থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে একটি সার্বিক কৌশল গড়ে তুলতে। ৭টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে আসার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। মমতা ছাড়াও সম্ভবত আসছেন না অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীরা।
আগামী সোমবারের ওই বৈঠকে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অভিযানের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সহায়তা বাড়ানো, মাওবাদীদের আর্থিক সহায়তার সূত্রগুলি চিহ্নিত করা, আরও পরিকল্পিত ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার। ৩৫টি জেলাকে শনাক্ত করে সেখানে আরও বেশি কোমর বাঁধার কথা ভাবা হচ্ছে। যে সমস্ত এলাকা এখন অনেকটাই জঙ্গিমুক্ত, সেখান থেকে বাহিনী সরিয়ে অপেক্ষাকৃত সঙ্কটপূর্ণ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিও ভাবনায় রয়েছে। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘দেখা যাচ্ছে, মাওবাদীদের অর্থের জোগান আসছে বেআইনি খনন এবং আফিম চাষ থেকে। তা ধ্বংস করা প্রয়োজন।’’