মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি: পিটিআই।
জরুরি অবস্থার পরে ইন্দিরা গাঁধী ক্ষমা চাইলেও কেউ তাঁকে মাফ করেনি। একই ভাবে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমা চাইলেও তাঁকে কেউ মাফ করবে না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন। আজ তৃণমূলনেত্রী মুম্বই থেকে কলকাতা ফিরেছেন। আর মমতার সঙ্গে আলাপচারিতার পরে মুম্বইয়ের বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন, এ বার নাগরিক সমাজকেও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্রিয় হতে হবে।
তৃণমূলনেত্রী গতকাল মুম্বইয়ের নাগরিক সমাজকে আশ্বস্ত করতে গিয়ে বলেছিলেন, “মোদীজিও ভয় পান। কেন কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে? উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের জন্য। ওরাও ভয় পেয়েছে।” এই প্রসঙ্গেই মমতা বলেন, “ইন্দিরাজিও খুব শক্তিশালী নেত্রী ছিলেন। কিন্তু একটাই বার্তা ছড়িয়েছিল। এমার্জেন্সি, এমার্জেন্সি, এমার্জেন্সি। উনি ১৯৭৭-এ ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু মানুষ ক্ষমা করেনি। একই ভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকেও কেউ ক্ষমা করবে না।” তাঁর অনুরোধ, নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনেরা মিলে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করে বিরোধীদের দিশা দেখান। কারণ, জেপি-র আন্দোলনের পিছনে নাগরিক সমাজ এককাট্টা হয়েছিল। বিজেপির মতো ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধেও একই ভাবে লড়াই করতে হবে। মমতার দাবি, তিনি সনিয়া গাঁধীকেও একই রকম উপদেষ্টা কমিটি তৈরির কথা বলেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস কিছুই করেনি।
অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর অতীতে তৃণমূল রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব হয়েছেন। আলোচনার পর স্বরার মত, “মমতাদিদি যে বার্তা দিয়েছেন, তাতে তরুণ প্রজন্ম আশাবাদী হতে পারে।”
তবে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীসের কটাক্ষ, “শরদ পওয়ার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপাতত কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছেন। বিরোধী শিবিরের নিজেদের লড়াই শেষ হলে দেখা যাবে, কে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আসেন।”