ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রথ থামিয়ে দেওয়ার পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরবর্তী লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন— এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আঞ্চলিক দলের নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই মমতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এসপি-র অখিলেশ সিংহ যাদব অথবা শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের মতো নেতারা বার্তা দিয়েছেন, মমতাকে ভবিষ্যৎ বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। আজ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর কলকাতা থেকে তৃণমূল নেত্রী দেশের বিরোধী নেতাদের টুইট করে ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে বিজেপির ‘ঘৃণা ও বিভেদে’র রাজনীতির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াইয়ের কথাও বলেন।
করোনার প্রকোপ কমে গেলে আগামী ২১ জুলাই দলের শহিদ দিবসকে ব্রিগেডে বিজয় সমাবেশ করতে পারে তৃণমূল এবং সেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি-বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। সব মিলিয়ে চব্বিশের লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের সলতে পাকানোর কাজটা এখন থেকেই শুরু করে দিলেন তৃণমূল
নেত্রী— এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদব ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিন ‘হ্যাশট্যাগ দিদি জিও দিদি’ উল্লেখ করে তাঁর এবং মমতার একটি ছবি টুইট করেছিলেন। আজ তৃণমূল নেত্রী তাঁকে টুইটে বলেছেন, ‘বাংলার মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে এবং বিভেদকামী রাজনীতিকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। আমি আমার দলীয় কর্মী এবং বাংলার মানুষের পক্ষ থেকে অখিলেশজিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ ঘটনা হল, আগামী বছরে উত্তরপ্রদেশের ভোটও লোকসভা ভোটের আগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। এই বছরে এসপি-র পক্ষ থেকে জয়া বচ্চন এবং কিরণময় নন্দকে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আগামী বছর বিজেপি-বিরোধী প্রধান শক্তি হিসেবে মমতাকেও প্রচারে উত্তরপ্রদেশে আমন্ত্রণ জানাতে চান অখিলেশ। এমনই জানা গিয়েছে
এসপি সূত্রে।
তামিলনাড়ুতে জয়ের জন্য এম কে স্ট্যালিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনার নেতৃত্বে তামিলনাড়ু আরও সমৃদ্ধ হবে।’ কাশ্মীরের নেতা ওমর আবদুল্লার অভিনন্দনের জবাবে মমতা লিখেছেন, ‘বাংলার মানুষ বিজেপির বিভেদকামী রাজনীতিকে দরজা দেখিয়ে দিয়েছে।’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের কাছে তৃণমূল নেত্রী সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদব ভোটের আগেই মমতার সমর্থনে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আজ লালুর সুস্বাস্থ্য কামনা করে টুইট করেছেন তৃণমূল নেত্রী। ফলাফলের দিনই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে কথা হয়েছিল মমতার। আজ রাহুলকে টুইট করেছেন তৃণমূল নেত্রী। বলেছেন, ‘বাংলার মানুষ গোটা দেশের জন্য রাস্তা তৈরি করেছে। বিজেপির ঘৃণার রাজনীতি খুব শীঘ্রই দেশ থেকে বিতাড়িত হবে।’