ফাইল চিত্র।
ভারত ভেঙে পঞ্জাবকে স্বাধীন করার নামে খলিস্তানি সন্ত্রাসের দীর্ঘ পর্ব দেখেছে দেশ। বিদেশ থেকে এখনও সেই চেষ্টা সমানে চলেছে। এ বারে খলিস্তানিদের নতুন লক্ষ্য ‘স্বাধীন’ পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র! ভারতের এই দু’টি অঙ্গরাজ্যকে স্বাধীন করার ডাক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও উদ্ধব ঠাকরেকে গত কাল চিঠি পাঠিয়েছে খলিস্তানি নেতা তথা ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠনের কর্তা গুরপতবন্ত সিংহ পান্নু।
মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মরাঠি ও বাঙালি সমাজের মানুষকে ফোনেও প্রভাবিত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। মূলত ফোনগুলি করা হচ্ছে আমেরিকা থেকে। পান্নুর রেকর্ড করা বক্তব্যে মরাঠি ও বাঙালি সমাজকে নিজেদের রাজ্যকে দেশ ঘোষণার দাবিতে সরব হওয়ার জন্য আন্দোলনে নামার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। কোথা থেকে কারা এই ফোনগুলি করছে, কাদের করা হচ্ছে, তা তদন্ত করে দেখছে দিল্লি পুলিশের সাইবার শাখা।
দুই মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে পান্নুর বক্তব্য, ‘ভারতের দীর্ঘ আধিপত্য থেকে’ নিজ রাজ্যের মানুষের আপন পরিচয়, সংস্কৃতি, ভাষা ও সম্পদকে রক্ষা করতে তৎপর হোন। একতরফা ভাবে পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করুন। পান্নুর যুক্তি, ১৯৪৭ সালের পর থেকে পঞ্জাবের মতোই পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করে চলেছে কেন্দ্র। ভারত সরকারের আধিপত্যমূলক মনোভাবের কারণে এই দুই রাজ্যের মানুষের জাতিসত্তা, ভাষা, সংস্কৃতি, নিজস্ব পরিচয় বিপদের মুখে। পান্নুর এ-ও দাবি, মুখ্যমন্ত্রীরা এই দুই রাজ্যকে স্বাধীন দেশ ঘোষণা করলে আন্তর্জাতিক আদালতও সেই দাবি মেনে নেবে।
দীর্ঘ দিন ধরে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতে বিদেশে বসে খলিস্তানি আন্দোলনকে উস্কানি দিয়ে চলেছে পান্নু। দিল্লির সীমানায় কৃষক আন্দোলনে ও প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর পিছনেও তাদের সংগঠনের মদতের কথা উঠে এসেছে। চলছে তদন্ত। তালিকায় যোগ হল দেশবিরোধী কার্যকলাপের নতুন অভিযোগ। ভারতের অন্যান্য অংশকেও অশান্ত করতে আরও বড় ছক নিয়ে ময়দানে নেমেছে খলিস্তানি সংগঠনটি।