আড়ি পাতা-কাণ্ডে কেন্দ্রকে তির মমতা ও কংগ্রেসের

শনিবার ছটপুজোর অনুষ্ঠানের পরে মমতা এই আড়ি পাতার জন্য কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারই পুরো ব্যাপারটা করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

হোয়াটসঅ্যাপে কেন আড়ি পাতা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবং তা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মো‌দীকে অনুরোধ জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

শনিবার ছটপুজোর অনুষ্ঠানের পরে মমতা এই আড়ি পাতার জন্য কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারই পুরো ব্যাপারটা করেছে। দু’-তিনটি রাজ্য সরকারও এর সঙ্গে রয়েছে। এর মধ্যে একটি রাজ্যে বিজেপি শাসিত সরকার এবং অন্য একটিতে অন্য দল ক্ষমতায় রয়েছে। এর ফলে ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকার খর্ব হচ্ছে।’’ তাঁর রাজ্যে ফোনে আড়ি পাতা হয় না বলেও দাবি করেছেন মমতা। ইজ়রায়েলি সংস্থা এনএসও কেন্দ্রীয় সরকারকে আড়ি পাতা সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন মমতা।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিচারক, আমলা, সাংবাদিক— সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ফোনেই আড়ি পাতা হচ্ছে। এখন হোয়াটসঅ্যাপ কল এবং মেসেজও রেকর্ড করে নিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। আমার ফোনেও যে আড়ি পাতা হয়, তা তো আমি জানি। পুরো ব্যাপারটাই এক ধরনের চরবৃত্তি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লির আকাশ আরও ঘোলাটে, দূষণ নিয়ে রাজনীতির চাপান-উতোর চলছেই

কোনও কোনও এলাকায় গাড়িতে আড়ি পাতার যন্ত্র লাগিয়েও মানুষের ফোনে কথোপকথন এবং মেসেজ রেকর্ড করা হচ্ছে বলেও মমতার অভিযোগ। তবে এই ঘটনার জন্য তিনি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইছেন না বলে জানিয়েছেন।

আড়ি পাতা নিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে কংগ্রেসের অভিযোগ, আড়ি পাতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে চাইছে ‘অসাধু’ বিজেপি সরকার। দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা টুইট করেন, ‘‘সরকার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইছে না। প্রথমত, কে এই বেআইনি স্পাইওয়্যার কেনে এবং কাজে লাগায়? প্রধানমন্ত্রী না এনএসএ কে এতে সম্মতি দেয়? ২০১৯ সালের মে মাসে হোয়াটসঅ্যাপ সরকারকে আড়ি পাতার ব্যাপারে জানায়। সরকার এত দিন চুপ ছিল কেন? দোষীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?’’

কংগ্রেসের এই আক্রমণের জবাবে বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জে পি নড্ডা বলেন, ‘‘সব অভিযোগ মিথ্যে। বিজেপি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে।’’ সনিয়া গাঁধীকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘জানতে চাই ইউপিএ-র মন্ত্রী থাকাকালীন প্রণব মুখোপাধ্যায় ও সেনা প্রধান থাকাকালীন ভি কে সিংহের উপরে নজরদারির নির্দেশ ১০ জনপথ থেকে কে দিয়েছিলেন? ইউপিএ সরকারের আমলে যে চক্রান্ত হয়েছিল সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই সনিয়া বিজেপিকে দুষছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement