রাহুল গাঁধীকে সভাপতি পদে চেয়ে ফের সওয়াল কংগ্রেসে।
কংগ্রেসে সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ পাকা হতে চলেছে। রবিবার সেই নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক। তার আগে আরও এক বার রাহুল গাঁধীকে দলের সভাপতি পদে ফেরানোর দাবি তুললেন কংগ্রেসের আরও এক প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বললেন, এই নিয়ে রাহুলকে জোর করা হবে। কারণ অন্য কোনও নেতার গোটা দেশে এতটা গ্রহণযোগ্যতা নেই।
রাজ্যসভায় বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের মতে, যিনি কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হবেন, গোটা দেশে তাঁর পরিচিতি থাকতে হবে। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে গুজরাটের মানুষের সমর্থন তাঁর পাশে থাকতে হবে। খাড়্গের কথায়, ‘‘গোটা কংগ্রেস দলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা, পরিচিতি থাকতে হবে। দলে এ রকম এখন আর কেউ নেই। আপনিই বলুন, বিকল্প কে? কে রয়েছে (রাহুল ব্যতীত)?’’
এর আগে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত বলেছিলেন, রাহুলকে সভাপতি পদ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হবে। এ বার একই সুরে খাড়্গে বলেন, ‘‘দলের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই এবং দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য রাহুলকে সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করা হবে।’’ এর পর সুর চড়িয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘সভাপতি পদে ফেরার জন্য আমরা তাঁকে (রাহুল) বলব, জোর করব এবং অনুরোধ করব। আমরা তাঁর পিছনে দাঁড়াব। তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করব।’’
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে রবিবার বৈঠকে বসবে কংগ্রেসের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী সংগঠন কংগ্রেস কার্যকরী সমিতি (সিডব্লুসি)। ভার্চুয়াল মাধ্যমে হবে বৈঠক, নেতৃত্বে থাকবেন সনিয়া গাঁধী। গহলৌত, খাড়্গে-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বড় অংশ রাহুলকে সভাপতি পদে ফেরানোর পক্ষপাতী। সেই নিয়ে জোর সওয়াল করছেন। যদিও দিগ্বিজয় সিংহের প্রশ্ন, রাহুল না চাইলে তাঁকে জোর করা হবে কী ভাবে?
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হারের দায় নিয়ে সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল। তার পর অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি পদে বসেছিলেন সনিয়া গাঁধী। রাহুল জানিয়েছেন, তিনি বা গাঁধী পরিবারের কেউ নন, বরং অন্য কেউ এ বার কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসুন। বাকি নেতাদের চাপাচাপিতে শেষ পর্যন্ত রাহুলের ইচ্ছাপূরণ হয় কি না, বলবে সময়।