—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্থানীয়দের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল রেল। রেললাইনে ফাটল ছিল। তা দেখামাত্রই বিষয়টি রেলকর্মীদের নজরে আনেন স্থানীয়রা। সেই সময় ওই পথ ধরেই আসছিল সঙ্ঘমিত্রা এক্সপ্রেস। সঙ্গে সঙ্গে রেলকর্মীরা ওই ট্রেনটিকে থামান। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বাপাতলা জেলায়।
বৃহস্পতিবার সকালে চিরালা টাউন এলাকার কাছে রেললাইনে ফাটল দেখতে পান ইপুরুপালেম এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা রেলকর্মীদের জানান। সেই সময় সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় রেলকর্মীদের একটি দল। সেই সময় ওই পথ ধরে আসছিল সঙ্ঘমিত্রা এক্সপ্রেস। রেলকর্মীরা ট্রেনটিকে থামান। সারানো হয় রেললাইন। এই ঘটনার জেরে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়েছিল সঙ্ঘমিত্রা এক্সপ্রেস। পরে রেললাইন সারানোর পর আবার ওই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরে বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে বেলাইন হয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। এই দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মালগাড়ি এবং ট্রেন বেলাইন হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। যার জেরে সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেল। বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশে রেললাইনে ফাটল আবার সেই নিরাপত্তার প্রশ্নই তুলে দিল। কিছু দিন আগে চালকের তৎপরতায় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল দিল্লির আনন্দবিহারগামী নীলাচল এক্সপ্রেস। প্রচণ্ড গরমে রেললাইন বেঁকে গিয়েছিল। সেই লাইন ধরে যাওয়ার সময় ট্রেন থামিয়েছিলেন চালক। এর আগে, অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় কোল্লাম-চেন্নাই এক্সপ্রেস। ট্রেনের একটি কামরার তলায় (স্যাসিতে) ফাটল ধরা পড়ে। বিষয়টি নজরে আসে এক রেলকর্মীর। সঙ্গে সঙ্গে ওই কামরাটি বদলানো হয়। তামিলনাড়ুর সেনগোত্তাই স্টেশনে এই ঘটনা ঘটেছিল।