—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বন্ধুর সঙ্গে স্কুটিতে চড়ে কোচিং ক্লাস থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁদের উপর গুলির হামলা চালিয়েছিলেন কয়েক জন মোটরবাইক আরোহী। ১০ জুলাইয়ের ওই ঘটনায় গুরুতর জখম কিশোরীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয় এক জনের। অন্য জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। গোয়ালিয়র শহরের এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সাত জনকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, পুরনো একটি হত্যামামলায় জেল থেকে বেরোনোর মাসখানেকের মধ্যে কিশোরীদের উপর হামলা চালিয়েছেন এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুমিত রাওয়ত।
গোয়ালিয়র হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সুমিত-সহ বাকিদের ধরতে দেশের নানা প্রান্তে গিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। মধ্যপ্রদেশের এডিজিপি ডি শ্রীনিবাস বর্মা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ধরতে গোয়ালিয়র ছাড়াও মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং রাজস্থানে তল্লাশি চালানো হয়। ১০ জুলাই এই হত্যাকাণ্ডের পর মূল অভিযুক্ত সুমিতের খোঁজে ৩০,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। এ ছাড়া, অন্যান্য অভিযুক্তের খোঁজ দিতে পারলে ১০,০০০ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছিল। শুক্রবার এডিজিপি বলেন, ‘‘ধৃতদের মধ্যে তিন জনকে মহারাষ্ট্র, দু’জনকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে পাকড়াও করেছে পুলিশ।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সুমিতকে মহারাষ্ট্রের ধুলে থেকে গ্রেফতার করে গোয়ালিয়রে আনা হয়েছে। তবে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার নাম করে পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। সে সময় একটি গর্তে পড়ে জখম হওয়ায় তাঁকে স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুরনো একটি হত্যামামলায় জুনে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন সুমিত। তার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই হামলা করেন বলে অভিযোগ।
ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল-সহ মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, হত্যাকাণ্ডের দিন ওই বাইকে চড়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন অভিযুক্তেরা। বাজেয়াপ্ত করা আগ্নেয়াস্ত্রটি দিয়েই কিশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয় বলেও দাবি।