Coronavirus in India

তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা মহারাষ্ট্রে, কার্ফু বিহারেও

আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্রে এ বার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না পর্যটন ও পরিবেশমন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২১ ০৬:১০
Share:

নবি মুম্বই স্টেশনের বাইরে অপেক্ষারত পরিযায়ী শ্রমিকরা। ছবি: পিটিআই।

টানা ৪ দিন দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। গত কালই দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশবাসীর প্রতি তাঁর বার্তা, ‘‘আগের দফার মতোই আমরা দ্রুত ও সফল ভাবে এ বার কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে পারব।’’

Advertisement

আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্রে এ বার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না পর্যটন ও পরিবেশমন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে। তিনি বলেছেন, ‘‘সংক্রমিতের সংখ্যা কম করে দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। আমরা এখন তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য তৈরি হচ্ছি। আমাদের কাছে ৫ লক্ষ শয্যা রয়েছে যার মধ্যে ৭০ শতাংশ অক্সিজেন-সহ।’’

বুধবার রাত থেকে পয়লা মে পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা ছাড়া সর্বত্র কড়া বিধিনিষেধ ও কার্ফু জারি করেছে সরকার। যা না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। ট্রেন চলবে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা কর্মীদের নিয়ে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পয়লা মে পর্যন্ত।

Advertisement

কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ায় মধ্যপ্রদেশে চাহিদা এবং ঘাটতি বেড়েছে অক্সিজেনের। একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, গত ২২ মার্চ যেখানে রাজ্যে ৬৪ মেট্রিক টন অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়েছে সেখানে ১৮ এপ্রিল প্রয়োজন হয়েছে ৩৩০ মেট্রিক টন অক্সিজেন। একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আজ রাজ্যের এক সরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে গুরুতর অসুস্থ ছয় কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে।

বিহারেও শীঘ্রই রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত কার্ফু চলাকালীন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সিনেমাহল, মল, ক্লাব, জিম, পার্ক। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে আনাজ, ফল, ডিম, মাংসের দোকান। ১৫ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।

রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে সামরিক সহায়তা চাইতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। আজ তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে চিঠি লিখব। কেন্দ্রের লোকবল ও পরিষেবার সাহায্য নিতে হতে পারে রাজ্যে।’’ ঝাড়খণ্ডে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে গেলেও রাজ্যবাসীর বেপরোয়া আচরণে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, মানুষ মাস্ক পরছে না। পারস্পরিক দূরত্ববিধি মানছেন না। হয় তারা ভয় পাচ্ছে না, নয়তো তাদের কড়া বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।’’

এ দিকে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সুমিত সুরি জানিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন হোটেল ও হলে যে ১৫০০ বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল, তা সব বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা মার খেয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement