একনাথ শিন্ডে এবং উদ্ধব ঠাকরে। ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্র বিধানসভার পরে এ বার সংসদে ভাঙতে চলেছে শিবসেনা। সোমবার বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন দলের ১৮ জন লোকসভা সাংসদের মধ্যে ১২ জনই একনাথ শিন্ডের শিবিরের অংশ হিসেবে ‘পৃথক গোষ্ঠী’ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে স্পিকার ওম বিড়লাকে আবেদন জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
শিন্ডে গোষ্ঠীর নেতা তথা মুম্বই দক্ষিণ-মধ্য কেন্দ্রের সাংসদ রাহুল শেওয়ালে সোমবার বলেন, ‘‘অধিকাংশ সাংসদই আমাদের দিকে রয়েছেন। আমরা পৃথক গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করব বলে স্পিকারকে জানিয়েছি।’’ শেওয়ালে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিল্লি পৌঁছে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে ১৮টি লোকসভা আসনে জিতেছিল শিবসেনা। পরে ২০২১ সালে উপনির্বাচনে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হবেলী লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে হারিয়ে জয়ী হন শিবসেনা সমর্থিত প্রার্থী। সংবিধানের দশম তফসিলের দলত্যাগ সংক্রান্ত বিষয়ের ১০২ (২) এবং ১৯১ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য এক সঙ্গে দল ছাড়লে তবেই দলত্যাগ-বিরোধী আইন প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ ১২ জন সাংসদ থাকলে পৃথক গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি পাবে শিন্ডেসেনা।
সোমবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা রামদাস কদম-সহ কয়েক জন নেতা শিবসেনা ছেড়েছেন। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে প্রাক্তন মন্ত্রী বিজয় শিবতারে বিধায়ক সন্তোষ বাঙ্গার-সহ কয়েক জন নেতাকে সাসপেন্ড করেছেন উদ্ধব। সংসদীয় দলের ভাঙন ঠেকাতে সোমবার উদ্ধব ঘনিষ্ঠ রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় রাউথ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে হাজির ছিলেন, আনন্দ সাওয়ন্ত, বিনায়ক রাউথ, ওমরাজে নিম্বলকর, সঞ্জয় যাদব এবং রাজন বিচারে। সঞ্জয়ের দাবি, অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি লোকসভা সাংসদ গজানন কীর্তিকর।