যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হলেও আদালতে এটা প্রমাণ করা যায়নি যে মেয়েটির বয়স আঠারো বছরের কম। প্রতীকী ছবি।
পরিবারের দাবি ছিল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের কিশোরী মেয়ের সঙ্গে সহবাস করেছেন পাড়ার এক যুবক। ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। পকসো আইন (প্রোটেকশন ফর চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট)-এ মামলাও রুজু করা হয়েছিল। তবে পরিবারের সেই অভিযোগ ধোপে টিকল না। কিশোরী যে অপ্রাপ্তবয়স্ক, আদালতে তা-ই প্রমাণিত হয়নি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, দু’জনের সম্মতিতেই তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
পকসো আদালতের বিশেষ বিচারক ভিভি বীরকর ১৫ মার্চ এই মামলার রায়দান করেন। তবে শনিবার সেই রায় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের নবীমুম্বইয়ের তুলজাপুর এলাকার বাসিন্দা ২৪ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন কিশোরীর মা। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি পেয়ে প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। সে সময় তাঁর বয়স ছিল সতেরো বছর ছ’মাস। ওই যুবক তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন বলেও অভিযোগ ছিল মহিলার।
যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হলেও আদালতে এটা প্রমাণ করা যায়নি যে, ওই মেয়েটির বয়স আঠারো বছরের কম। রায়দানের সময় বিচারক বীরকরের মন্তব্য, ‘‘দু’জনে যে স্বেচ্ছায় সহবাস করেছেন, তা মেয়েটির মেডিক্যাল রিপোর্টে প্রমাণিত।’’ এ ছাড়া, মেয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্ক কি না, তা প্রমাণিত না হওয়ায় যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগও আনা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, ২০১৪ সালে অর্থাৎ এই মামলায় অভিযোগ করার সময় কিশোরীর যা বয়স ছিল, সে বয়সে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে বিচারবুদ্ধি গড়ে তোলা একেবারে অসম্ভব নয়। তাই এই ঘটনাকে ধর্ষণ বলে আখ্যা দেওয়া যায় না। অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত।