ধৃত ইউটিউবার মণীশ কশ্যপের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। ছবি: সংগৃহীত।
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সমাজমাধ্যমে ভুয়ো ভিডিয়ো পোস্ট করার অভিযোগে খ্যাতনামী ইউটিউবার মণীশ কশ্যপকে গ্রেফতার করল বিহার পুলিশ। তাঁর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে শনিবার পুলিশ সূত্রে খবর।
বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলায় বেতিয়ার জগদীশপুর থানায় গিয়ে শনিবার সকালে আত্মসমর্পণ করেন এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মণীশ ওরফে ত্রিপুরারীকুমার তিওয়ারি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ এবং তাদের আর্থিক অপরাধদমন শাখা (ইওইউ)।
মণীশের দাবি ছিল, তামিলনাড়ুতে বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকদের বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে। এমনই দাবি করে ৩০টি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন মণীশ। তবে পুলিশের দাবি, ওই সব ক’টি ভিডিয়োই ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। বিহার পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (হেড কোয়াটার্স) জেএস গাঙ্গওয়ার আগেই দাবি করেছিলেন, ওই ভুয়ো ভিডিয়োগুলির এর জেরে ভিন্রাজ্যের বিহারি পরিযায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দক্ষিণের রাজ্য ছেড়ে পরিযায়ীরা ঘরে ফিরে আসতে শুরু করেছিলেন।
শনিবার মণীশের গ্রেফতারির পর তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য এই ইউটিউবারের বাড়িতে পৌঁছন ইওইউ-এর আধিকারিকেরা। ইওইউ-এর তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘‘দক্ষিণের রাজ্যে পরিযায়ীদের নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর মামলায় অভিযুক্ত মণীশকে খুঁজছিল বিহার এবং তামিলনাড়ু পুলিশ। শনিবার সকালে তিনি থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন।’’
ভুয়ো ভিডিয়োর পোস্ট করার অভিযোগে তামিলনাড়ু পুলিশ ইতিমধ্যেই ১৩টি মামলা রুজু করেছে। এই মামলায় মণীশ ছাড়া জামুই জেলার বাসিন্দা আমন কুমার, রাকেশ তিওয়ারি, যুবরাজ সিংহ রাজপুতের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। ১৫ মার্চ মণীশের গ্রেফতারির সমন জারি করা হয়েছিল। ইওইউ জানিয়েছে, প়টনা এবং চম্পারণ পুলিশের সঙ্গে মিলে ৬টি দল গঠন করে শুক্রবার থেকে বিভিন্ন জায়গায় মণীশের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়েছে।