বিশিষ্ট সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজ। ছবি: সংগৃহীত।
ভীমা কোরেগাঁও মামলায় জামিনের আর্জি জানাতে গিয়ে দায়রা আদালতের অতিরিক্ত বিচারকের ‘বিচার করার যোগ্যতা’ নিয়েই হাইকোর্টে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজের আইনজীবী। এ বারে সেই বক্তব্যকেই ‘ঠিক নয়’ বলে জানিয়ে সুধার জামিনের আর্জির বিরোধিতা করল মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকার।
ভীমা কোরেগাঁও মামলায় ২০১৮ থেকে জেলবন্দি সুধা ভরদ্বাজের জামিনের আর্জি জানাতে গিয়ে তাঁর আইনজীবী যুগ চৌধরি প্রশ্ন তোলেন, যে মামলার বিচার বিশেষ বিচারকেরাই করতে পারেন, সেখানে বিচারের ভার দেওয়া হয়েছে দায়রা আদালতের অতিরিক্ত বিচারককে। যা ওই বিচারকের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। পাল্টা মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল আশুতোষ কুম্বকোনি আদালতে জানান, নিম্ন আদালত সম্পর্কে জামিনের আবেদনকারীর বক্তব্য সঠিক নয়। তাঁর যুক্তি, যদিও এই মামলাটি ইউএপিএ-র ধারায় করা হয়েছে, কিন্তু এর তদন্তভার রাজ্য পুলিশের হাত থেকে এনআইএ গ্রহণ করেছিল ২০২০-তে। অ্যাডভোকেট জেনারেলের দাবি, এনআইএ মামলাটি গ্রহণ করার পরেই তা বিশেষ আদালতের এক্তিয়ারে আসে। তার আগে মামলাটি পুণের দায়রা আদালতের এক্তিয়ারেই থাকে। এনআইএ আইনে বিশেষ আদালত গঠিত হয় এনআইএ তদন্তের বিচারের জন্য, যার মধ্যে মামলা শুরুর আগের শুনানির বিষয়গুলি যুক্ত থাকে না। ফলে আবেদনকারী যে যুক্তি দিয়েছেন, তা ভ্রান্ত। ২৩ জুলাই মামলাটির ফের শুনানি হবে বিচারপতি এস এস শিন্ডে ও বিচারপতি এন জে জমাদারের বেঞ্চে।
ভীমা কোরেগাঁও মামলায় সুধা ভরদ্বাজ-সহ একাধিক সমাজকর্মীর পাশাপাশি গ্রেফতার হয়ে কিছু দিন আগেই মারা গিয়েছেন খ্রিস্টান যাজক ফাদার স্ট্যান স্বামী। তার পরেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একসুরে তুলোধোনা করে সব ক’টি বিরোধী দল। সেই তালিকায় ছিল মহারাষ্ট্র সরকারের তিন শরিক শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি-ও। এ বারে সেই সরকারের তরফে সুধার জামিনের বিরোধিতা করায় তাদের নীতিগত অবস্থান নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।