শিন্ডে এবং উদ্ধব। ফাইল চিত্র।
উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের দাবি মেনে একনাথ শিন্ডে-সহ ১২ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কের পদ খারিজের জন্য তৎপরতা শুরু হল। মহারাষ্ট্র বিধানসভা সচিবালয় সূত্রের খবর, ভারপ্রাপ্ত স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়াল বিদ্রোহী বিধায়কদের বিধানসভায় হাজির হয়ে দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপ সংক্রান্ত অভিযোগের শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য শুক্রবার নোটিস পাঠাতে পারেন।
শুক্রবার দুপুরে গুয়াহাটির হোটেল ছেড়েছেন শিন্ডে। সূত্রের খবর, তিনি মুম্বই ফিরছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, মুম্বই ফিরেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিতে পারেন বিদ্রোহী শিবিরের নেতা। তবে মঙ্গলবার বিধানসভার দলনেতার পদ থেকে শিন্ডেকে সরিয়ে অজয় চৌধুরীকে নিয়োগের যে সিদ্ধান্ত শিবসেনা নিয়েছিল, শুক্রবার তাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত স্পিকার জিরওয়াল। এর ফলে শিন্ডে শিবির কিছুটা বেকায়দায় পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিন্ডে শিবির অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব আস্থা ভোটের পথে হাঁটতে পারেন।
ফেব্রুয়ারি মাসে নানা পাটোলে স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর থেকে অস্থায়ী ভাবে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এনসিপি বিধায়ক জিরওয়াল। উদ্ধব শিবিরের এই পদক্ষেপের পিছনে পওয়ারের ‘মস্তিষ্ক’ রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। শিন্ডে-সহ ওই ১২ বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও কারণ না দেখিয়ে বুধবারের শিবসেনা পরিষদীয় দলের বৈঠকে গরহাজিরাকে ‘দলত্যাগ বিরোধী আচরণ’ বলে চিহ্নিত করেছে শিবসেনা।
এরই মধ্যে শুক্রবার আরও চার বিদ্রোহী বিধায়কের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আচরণের অভিযোগ জানানো হয়েছে শিবসেনার তরফে। অর্থাৎ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ আনতে সক্রিয় হয়েছে উদ্ধব শিবির। ওই আইন অনুযায়ী, পরিষদীয় দলে ভাঙনের স্বীকৃতির জন্য দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত হননি, এমন অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। ধাপে ধাপে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযুক্ত করা হলে বিদ্রোহী শিবিরের ‘লক্ষ্যপূরণ’ কঠিন হয়ে পড়বে।
যদিও শুক্রবার গুয়াহাটির হোটেল থেকে বেরোনোর সময় শিন্ডে বলেন, ‘‘৪২ জন শিবসেনা বিধায়ক-সহ মোট ৫২ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে আমাদের দিকে।আমরাই আসল শিবসেনা।’’