উদ্ধব ঠাকরে ফাইল ছবি
মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরেকে গদিচ্যুত করতে বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে বলে দাবি করলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা এ রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট সরকারে ‘অশুভ জোট’ বলে আখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বলেন, ‘‘অশুভ জোটের (এমভিএ) পতন অনিবার্য। ’’
শিন্ডে-শিবিরের বিধায়কেরা অসমের যে হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছেন, সেখানে পৌঁছলেন বিজেপি বিধায়ক তরঙ্গ গগৈ।
উদ্ধব-শিবিরের দিকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে মহারাষ্ট্রের অস্থায়ী ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়ালের অপসারণের দাবি তুললেন দুই নির্দলীয় বিধায়ক।
মহারাষ্ট্র বিধানসভার পরিষদীয় নেতা হিসাবে সেনার প্রস্তাবিত বিধায়ক অজয় চৌধরির নামে অনুমোদন দিলেন রাজ্যের অস্থায়ী ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়াল। এই প্রস্তাব পাঠিয়ে জিরওয়ালকে চিঠি দিয়েছিল শিবসেনা।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে কটাক্ষ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে তিনি বলেন, ‘‘অসমে ছুটি কাটাতে আসা উচিত তাঁর (উদ্ধবের)।’’
শিবসেনার ১৬ জন বিধায়কের পদ খারিজের আবেদন করল উদ্ধব-শিবির। এই তালিকায় বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে ছাড়াও রয়েছেন মহেশ শিন্ডে, আব্দুল সাত্তার, সঞ্জয় শিরসাট, যামিনী যাদব, অনিল বাবর প্রমুখ।
মহারাষ্ট্রে জোট সরকারের শরিক দল কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ রয়েছে বলে দাবি করলেন দলের নেতা কমল নাথ। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস বিধায়কেরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। এখন দেখার শিবসেনা কী ভাবে তাদের বিধায়কদের সামলায়! ৪৪ জন বিধায়কের মধ্যে ৪১ জনের সঙ্গে আমি দেখা করেছি। বাকি তিন জনের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে।’’
একনাথ শিন্ডের শিবিরে গেলেন শিবসেনা বিধায়ক দিলীপ লান্ডে। শুক্রবার তিনি অসমের হোটেলে পৌঁছেছেন বলে সূত্রের দাবি।
রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারিকে চিঠি দিলেন বিজেপি পরিষদীয় দলের সদস্য প্রবীণ দারেকর। তাঁর দাবি, ‘‘মহা বিকাশ অগাড়ি (এমভিএ) সরকার সন্দেহজনক ভাবে রাজ্যের একের পর এক প্রকল্প, পরিকল্পনায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিকাদারদের বরাত দিচ্ছে।’’ এ বিষয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
অসমের হোটেল ছেড়ে কি মুম্বইয়ের দিকে রওনা দিলেন শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা শিন্ডে? ‘রাজ্যের স্বার্থে’ তাঁকে অসম ছাড়তে অনুরোধ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেনকুমার বোরা। এই মর্মে শিন্ডেকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। ঘটনাচক্রে, তার পরই অসমের হোটেল ছাড়তে দেখা যায় শিন্ডেকে।
একনাথ শিন্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শিবসেনার একাংশ ভুল পথে পা বাড়িয়েছেন। এ দাবি করলেন সাংসদ তথা সেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের প্রয়োজন পড়লে আমরাই জিতব। ওঁরা (বিধায়কেরা) অত্যন্ত ভুল পথ নিয়েছেন। তবে আমরাও ওঁদের মুম্বইয়ে ফেরার সুযোগ দেব। মুম্বইয়ে ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।’’
একনাথ শিন্ডের শিবিরের আরও চার বিধায়কের পদ খারিজের দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়াল কাছে চিঠি দিয়েছেন তিনি। সেখানে সব মিলিয়ে মোট ১৬ জনের বিধায়কপদ খারিজের দাবি করেছে উদ্ধব। প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারিতে স্পিকার পদ থেকে নানা পাটোলে ইস্তফা দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হন। তার পর থেকে অস্থায়ী ভাবে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এনসিপি বিধায়ক জিরওয়াল।
শিন্ডে-শিবিরের সংখ্যা বাড়তে থাকায় জরুরি বৈঠকে বসল এনসিপি এবং শিবসেনা। শুক্রবার সকালে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে হাজির হলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
মহা বিকাশ অগাড়ি (এমভিএ) জোট সরকারের শরিক তথা এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করবেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। অন্য দিকে, শুক্রবার সকালে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীসের বাড়িতে বৈঠকে বসেছেন দলীয় নেতৃত্ব।
একনাথ শিন্ডের সঙ্গে হাত মেলানো ১২ শিবসেনা বিধায়ককে (ডিসকোয়ালিফাই) অযোগ্য ঘোষণা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানালেন সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, ‘‘শিবসেনার মতো এত বড় সমুদ্রে ঢেউ আসে যায়। শিন্ডেদের কাছে শুধুই কাগজেকলমে নম্বর রয়েছে। কয়েক জন বলছেন ৪০ জন বিধায়ক। আবার অনেকে অন্য সংখ্যা বলছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে দিন বিধায়কেরা মুম্বইয়ে ফিরবেন, সে দিন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। নম্বর নিয়ে লড়াই চলছে। কাগজেকলমে এবং রাস্তায় এই লড়াই হচ্ছে। আমরা তিনটেতেই জিতব!’’
শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের দাবি, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের বিরুদ্ধে এক্তিয়ার বহির্ভূত মন্তব্য করেছে বিজেপি। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি রাউতের। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, এমভিএ সরকারকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলে শরদ পওয়ারকে বাড়ি ফিরতে দেওয়া হবে না। এমভিএ সরকার বাঁচবে কি না, তা পরের কথা, তবে শরদ পওয়ারের বিরুদ্ধে এ ধরনের ভাষা প্রয়োগ সমীচীন নয়।’’
একনাথ শিন্ডের পাশে দাঁড়ালেন আরও দুই বিধায়ক। তবে তাঁরা শিবসেনার নন, নির্দল। এমনই দাবি করলেন বিদ্রোহীরা। তাঁরা অসমে পৌঁছে গিয়েছেন বলে দাবি।
মহারাষ্ট্রের ক্ষমতা দখলে বিজেপির প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করবে প্রদেশ কংগ্রেস। এমনই দাবি করলেন মহা বিকাশ অগাড়ি জোটের কংগ্রেস নেতা নানা পাটোলে। রাজ্যে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইডি-কে কাজে লাগিয়ে এ সব সাজাচ্ছে বিজেপি। ওরা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। ওদের অবশ্যই মনে রাখা দরকার যে আজ ওরা (কেন্দ্রে) ক্ষমতায় রয়েছে, আগামিকাল অন্য কেউ সে জায়গায় বসবে।’’
বহু বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেননি শিবসেনা প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এমনই দাবি করলেন বিদ্রোহী সেনা বিধায়ক সঞ্জয় শিরসাট। তাঁর কথায়, ‘‘বিধায়কেরা আগে বার বার উদ্ধব’জিকে জানিয়েছেন যে কংগ্রেস এবং এনসিপি, দুই দলই শিবসেনাকে (জোট থেকে) সরাতে চাইছে। এ নিয়ে উদ্ধব’জির সঙ্গে দেখা করার সময় চাইলেও তিনি কখনই তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি।’’