উদ্ধব এবং শিন্ডে। ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্র বিধানসভার পরে এ বার একনাথ শিন্ডের শিবিরের ‘নজর’ সংসদে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদকে দলে টেনে নিজেদের ‘আসল শিবসেনা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। শিন্ডেসেনার নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গুলাবরাও পাটিল বুধবার বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র থেকে লোকসভায় নির্বাচিত ১৮ জন শিবসেনা সাংসদের মধ্যে ১২ জনই আমাদের শিবিরে যোগ দেবেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁরা এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করবেন।’’
এই পরিস্থিতিতে বুধবার উদ্ধব শিবির শিন্ডে শিবিরের ঘনিষ্ঠ ভাবনা গওলীকে সরিয়ে লোকসভার চিফ হুইপ হিসেবে মনোনীত করেছে রাজন বিচারেকে। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত এ কথা ঘোষণা করেছেন। ঠাণের সাংসদ রাজন শিবসেনার অন্দরে শিন্ডে-বিরোধী হিসেবেই পরিচিত।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে ১৮টি লোকসভা আসনে জিতেছিল শিবসেনা। পরে ২০২১ সালে উপনির্বাচনে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হবেলী লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে হারিয়ে জয়ী হন শিবসেনা প্রার্থী। সংবিধানের দশম তফসিলের দলত্যাগ সংক্রান্ত বিষয়ের ১০২ (২) এবং ১৯১ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য এক সঙ্গে দল ছাড়লে তবেই দলত্যাগ-বিরোধী আইন প্রযোজ্য হবে না। তবে আলাদা আলাদা সময়ে আলাদা আলাদা সাংসদ বা বিধায়ক দল ছেড়ে পরে ‘একসঙ্গে’ দলত্যাগের কথা বললে তা গ্রাহ্য হওয়ার কথা নয়।
এই হিসাবে, শিবসেনার লোকসভা দলে ভাঙন ধরানোর জন্য ১৩ জন সাংসদ প্রয়োজন শিন্ডে শিবিরের। এ ছাড়া রাজ্যসভায় তিন জন শিবসেনা সাংসদের মধ্যে পৃথক গোষ্ঠীর স্বীকৃতি পেতে প্রয়োজন দুই সাংসদের সমর্থন। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরবেকর ‘শিবসেনার দলনেতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন শিন্ডেকে। ফলে ভবিষ্যতে দল দখলের লড়াইয়ে শিন্ডেরা কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও শিবসেনার জাতীয় কর্মসমিতি এবং সাংগঠনিক পদাধিকারিদের বড় অংশ এখনও রয়েছেন উদ্ধবের পাশে।