বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শিবসেনার। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে এ বার বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তুলল শিবসেনা। তাদের দাবি, রাষ্ট্রপতি শাসনের সুযোগ নিয়ে বিধায়ক কেনাবেচায় নেমেছে বিজেপি।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ম্যাজিক সংখ্যা ১৪৫। বিজেপির সমর্থন ছাড়া সেখানে কোনও দলের পক্ষে সরকার গড়া সম্ভব নয় বলে শুক্রবার মন্তব্য করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আবার ১৪ জন নির্দল প্রার্থী-সহ মোট ১১৯ বিধায়কের সমর্থন তাঁদের সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল।
তার পরই শনিবার দলের মুখপাত্র ‘সামনা’য় বিজেপিকে একহাত নেয় শিবসেনা। বলা হয়, ‘১০৫টি আসন থাকা সত্ত্বেও রাজ্যপালের ডাকে যারা সরকার গড়তে পারেনি, হঠাৎ করে তাদের মধ্যে এত আত্মবিশ্বাস এল কী ভাবে যে, দাবি করছে মহারাষ্ট্রে তারাই সরকার গড়বে? রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতেই আচমকা ম্যাজিক সংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছে গেল কী ভাবে? ওদের ঘোড়া বেচাকেনার অভিসন্ধি সামনে চলে এসেছে। স্বচ্ছ শাসন ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি যে আদতে মিথ্যা ছিল, তা-ও স্পষ্ট। মরাঠা সংস্কৃতিতে এমন অনৈতিকতা শোভা পায় না।’
আরও পড়ুন: আজ খুলছে শবরীমালা, মেয়েদের ঢোকা নিয়ে হাত তুলে নিল কেরলের বাম সরকার
শুক্রবার মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে রাজনীতিকে ক্রিকেটের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ী। ক্রিকেটের মতো রাজনীতিতেও যে কোনও মুহূর্তে খেলা পাল্টে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর সেই মন্তব্যকেও হাতিয়ার করেছে শিবসেনা। তাদের দাবি, ‘আজকের দিনে ক্রিকেট খেলা কম ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা কৌশল এবং ম্যাচ ফিক্সিং শুরু হয়েছে সেখানে, যাতে জয় নিয়ে কোনও সন্দেহই না থাকে। তাই মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতিকে ক্রিকেটের সঙ্গে তুলনা করে ঠিকই করেছেন গডকড়ী।’ শিবসেনার অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিজেপি।
আরও পড়ুন: ‘জাতীয় সড়ক তো ঠিকই ছিল, রাজ্য সড়ক কিছু জায়গায় খারাপ ছিল, সেখানে ঝটকা খেতে হয়েছে!’
অন্য দিকে, মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে শিবসেনার বোঝাপড়া প্রায় ‘পাকা’ হয়ে গিয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য শিবসেনাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে এনসিপি এবং কংগ্রেস-দুই দলই রাজি হয়েছে বলে খবর। শনিবার দুপুরে রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে একজোটে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। বেকারত্ব এবং কৃষকদের দুরাবস্থা নিয়ে সেখানে কথা হবে বলে ঠিক ছিল। কিন্তু শেষমেশ বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়।