গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই শুরু হয়ে গিয়েছিল উৎসব। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ইস্তফা ঘোষণার পর মুম্বইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে জড়ো হওয়া বিজেপি নেতাদের ভিড়ে শুরু হয়ে গেল মিষ্টি বিলি। আর সেই সঙ্গে বিজেপির পরিষদীয় নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীসের নামে উঠল স্লোগান। বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, তৃতীয় বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে।
দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক সেরে বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বই ফেরেন ফডণবীস। রাজ্য বিজেপির অন্য নেতাদের সঙ্গে ডেরা বেঁধেছিলেন ওই হোটেলে। দিল্লির বৈঠকেই ‘ফর্মুলা সিক্স’ মেনে পরবর্তী মন্ত্রিসভার রূপরেখা তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। অর্থাৎ, প্রতি ছ’জন বিধায়ক পিছু এক জন করে মন্ত্রী।
বর্তমানে ৩৯ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কের পাশাপাশি অন্তত আট জন নির্দল এবং ওমপ্রকাশ বাবুরাও কাড়ু ওরফে বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন প্রহার জনশক্তি পার্টির দুই বিধায়ক রয়েছেন শিন্ডে শিবিরে। শিন্ডে, বাচ্চু-সহ মোট ৮ জন মন্ত্রী রয়েছেন এই তালিকায়। তাঁদের প্রত্যেককেই ফের মন্ত্রী করা হতে পারে। এ ছাড়া বাড়তি দু’টি প্রতিমন্ত্রীর পদ পেতে পারেন শিন্ডে অনুগামীরা। অন্যদিকে বিজেপির রয়েছে ১০৬জন বিধায়ক।
বুধবার শিন্ডে-সহ বিদ্রোহী বিধায়কেরা গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিয়ে চার্টার্ড বিমানে গোয়ায় পৌঁছন। রাজধানী পানাজির কাছে একটি বিলাসবহুল রিসর্টে রয়েছেন তাঁরা। উদ্ধব ইস্তফা দেওয়ায় আর আস্থাভোটের প্রয়োজন নেই। এই পরিস্থিতিতে আগামী দু’-এক দিনের মধ্যে তাঁদের মুম্বই আনা হতে পারে।
২০১৪-১৯ মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ফডণবীস। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের পর শিবসেনার সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ায় এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের বিদ্রোহী ভাইপো অজিতের সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ফডণবীস। অজিত হন উপমুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এনসিপি পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়ে ৮০ ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা দিতে হয়েছিল তাঁকে। আর বিদ্রোহে ইতি টেনে ফের শরদের শিবিরে ফিরেছিলেন অজিত। এ বার সম্ভবত সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে না মহারাষ্ট্রে।