গুয়াহাটির হোটেলে একনাথ শিন্ডে এবং অন্যান্য বিধায়কেরা।
দিনের আলোর মতো ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে মহারাষ্ট্র মহা বিকাশ অগাড়ি (এমভিএ) সরকারের ভবিষ্যৎ। পরিণতিতে পৌঁছনোর আগে ঘটনা পরম্পরার প্রতিটি মুহূর্তের চমক বলিউডকে হার মানাবে। প্রায় ক্লাইম্যাক্সে এসে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল এবং ডেপুটি স্পিকারকে ৩৭ জন সেনা বিধায়ক চিঠি লিখলেন। সেখানে তাঁরা স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, আইনসভায় তাঁদের দলনেতা একনাথ শিন্ডে। চিঠিতে নাম ও গন্ধ নেই উদ্ধব ঠাকরের।
ওই চিঠি আসলে পাল্টা চাল শিন্ডের। কারণ, তার আগেই উদ্ধব শিবির থেকে ডেপুটি স্পিকারকে চিঠি দিয়ে ১২ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে ‘ডিসকোয়ালিফাই’ (অযোগ্য) করার আবেদন জানানো হয়। শিন্ডে ওই আবেদনকে শুধু ‘বেআইনি’ বলেননি, তাঁর পক্ষে থাকা বিধায়কদের দিয়ে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন ডেপুটি স্পিকারের কাছে। যে চিঠিতে তাঁকেই দলনেতা উল্লেখ হয়েছে। মরাঠিতে পর পর তিনটি টুইট করে শিন্ডে লিখেছেন, ‘আপনি কাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন? আমরা আইন জানি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি সংবিধানের উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘সংবিধানের ১০ম তফসিল অনুযায়ী বিধানসভার কাজে বাধ্যতামূলক উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ জারি করা যায়, কোনও দলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য নয়। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও একাধিক রায় আছে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকাল পাঁচটার সময় বিদ্রোহী বিধায়কদের দলের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য ‘অন্তিম সময়সীমা’ জারি করেন উদ্ধব ঠাকরে। না এলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তাও দেন তিনি। কিন্তু কেউ সেই বৈঠকে হাজির তো হননি, উল্টে আরও দুই বিধায়ক রওনা দেন শিন্ডে শিবিরের উদ্দেশে।
দ্বিতীয় টুইটে শিন্ডের সেই পুরনো বার্তা, ‘১২ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে আপনি আমাদের ভয় দেখাতে পারবেন না। কারণ আমারই প্রকৃত শিবাসেনা, শ্রদ্ধেয় বালা ঠাকরের শিব সৈনিক।’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।