দাবায় মগ্ন একনাথ! টুইটার থেকে নেওয়া।
রোগীর শ্বাস উঠে গিয়েছে। জবাব দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এখন শুধু অলৌকিকেই ভরসা। মহারাষ্ট্র মহা বিকাশ অগাড়ি (এমভিএ) সরকারের পতন কার্যত নিশ্চিত। আর সেই পতনের চিত্রনাট্য রচিত হচ্ছে মুম্বইয়ের সচিবালয় থেকে হাজার দুয়েক কিলোমিটার দূরে গুয়াহাটির বিলাসবহুল হোটেলে।
বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের নেতা একনাথ শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে রয়েছে ৩৭ জনের সমর্থন। শোনা যাচ্ছে, আরও দু’জন বিধায়ক অসমের পথে। একটি ছবি দেখিয়ে আবার শিন্ডে শিবির থেকে ৪২ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে আছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। আর মুম্বইয়ে উদ্ধব ঠাকরের ডাকা বৈঠকে হাজির মাত্র ১৩ জন বিধায়ক। অর্থাৎ পাটিগণিতের হিসেবেই পরিষ্কার, উদ্ধবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়া এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু রাজনীতি শুধুই পাটিগণিতের নিয়মে চলে না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার বলেন, ‘‘আস্থাভোটেই স্থির হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কার সঙ্গে।’’ আর পওয়ারের এই মন্তব্যেই নতুন করে বুক বাঁধছেন হতোদ্যম শিবসৈনিকদের একটি অংশ। বহু যুদ্ধের পোড়খাওয়া খেলোয়াড় পওয়ার বলেছেন, ‘‘সবাই জানে কী ভাবে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের প্রথমে গুজরাত এবং তার পর অসমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুটো রাজ্যই বিজেপিশাসিত। কারা ওঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তা সবাই বুঝতে পারছে। অসম সরকার কেন ওঁদের সাহায্য করছে? আমি বিশেষ কারও নাম করতে চাই না। কিন্তু আসল ব্যাপার হল বিধানসভায় আস্থাভোট। তখনই দেখা যাবে।’’
গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
শেষ মুহূর্তে পওয়ার খেলা ঘোরাতে পারবেন কি না, তা যেমন এখনও পরিষ্কার নয়। পাশাপাশি, শিন্ডের সাম্প্রতিকতম দাবি ঘিরে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। শিন্ডে কোনও দলের নাম করেননি। শুধু বলেছেন, ‘‘একটি জাতীয় দল আমাদের বিদ্রোহকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছে এবং সমস্ত রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’’
কোন দল? শিন্ডে মুখে না বললেও সেই দলের নাম যে বিজেপি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তা হলে কি মহারাষ্ট্র বিধানসভার একক বৃহত্তম দল আবার সেই রাজ্যে সরকার গড়তে চলেছে? বিজেপির মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, তিনি বৈঠক করছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।