কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (বাঁ দিকে), মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (ডান দিকে)। — ফাইল ছবি।
কথা রেখেছেন অমিত শাহ! কমিশনের নির্দেশে শিবসেনার নাম এবং প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার পর এমনই প্রতিক্রিয়া ‘আসল’ শিবসেনার প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের। বললেন, ‘‘পাহাড়ের মতো পাশে থেকেছেন অমিত শাহ।’’
দীর্ঘ টানাপড়েনের পর নির্বাচনে কমিশনের নির্দেশে ফয়সালা হয়েছে শিবসেনা-বিতর্কের। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, শিবসেনার নাম এবং তির, ধনুক প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করতে পারবেন শিবসেনার বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আর এতে সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন বালাসাহেব পুত্র তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে। তা নিয়ে আবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল শিন্ডের গলায়। তিনি বলেন, ‘‘অমিতজি আমাকে বলেছিলেন, শিন্ডেজি আপনি এগিয়ে যান। আমরা পাহাড়ের মতো আপনার সঙ্গে রয়েছি।’’
গত বছর জুনে শিন্ডে গোষ্ঠীর বিদ্রোহের জেরে পড়ে যায় মহাবিকাশ আঘাডীর সরকার। মুখ্যমন্ত্রী পদ হারান ঠাকরে। শিন্ডের শিবিরের সঙ্গে যান শিবসেনার প্রতীকে জিতে আসা ৫৫ জন বিধায়কের ৪০ জন। লোকসভার ১৮ সাংসদের মধ্যে ১৩ জনও বিদ্রোহী শিবিরে যোগ দেন। বিজেপির সমর্থন নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসেন বিদ্রোহীদের নেতা শিন্ডে। বিরোধীরা একে অর্থ এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে সরকার ভাঙার কারবার বলে অভিযোগ তুললেও বিজেপি তা কখনওই মানেনি। উল্টে তাদের দাবি ছিল, ক্ষমতার লোভে মতাদর্শগত ভাবে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। বিধায়কদের আপত্তি মানেননি তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, শনিবার পুণেতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর লেখা একটি বইয়ের মরাঠী অনুবাদ প্রকাশ করার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েও কার্যত একই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছিল অমিত শাহের গলায়। তিনি বলেছিলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন সত্য এবং মিথ্যার মধ্যে যে পার্থক্য, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। শুক্রবার প্রকৃত অর্থেই সত্যমেব জয়তের তাৎপর্য দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেল।’’