‘আমাদের কথাও শোনা হয় যেন’! সেনার দখল নিয়ে উদ্ধবের মামলার আগেই আদালতে গেলেন শিন্ডেরা। ছবিতে বাম দিকে একনাথ শিন্ডে, ডান দিকে উদ্ধব ঠাকরে। মাঝে শিবসেনার প্রতীক।
নির্বাচন কমিশন আগেই তাদের রায়ে জানিয়ে দিয়েছিল, শিবসেনা নাম এবং তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী। অর্থাৎ, ‘প্রকৃত’ শিবসেনা বলতে এ বার তাদেরকেই বোঝানো হবে, দলের প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধব ঠাকরের শিবিরকে নয়। কমিশনের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে উদ্ধব শিবির যখন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সে সময় শীর্ষ আদালতে গেল শিন্ডে শিবিরও।
সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করে শিন্ডেদের তরফে আদালতে এই মর্মে আর্জি জানানো হয়েছে যে, শিবসেনার উত্তরাধিকার নিয়ে কোনও রায় দেওয়ার আগে যেন মহারাষ্ট্র সরকারের বক্তব্যও শোনা হয়। বর্তমানে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডেই। শিবসেনার অন্দরে বিদ্রোহ ঘোষণা করে সিংহভাগ বিধায়ককে নিয়ে দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি এবং বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়েন। আস্থাভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার চালানো উদ্ধব।
ক্যাভিয়েট দাখিলের অর্থ, কোনও মামলায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বক্তব্য না শুনে কোনও রায় দিতে বা সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে না আদালত। শিন্ডে শিবির মনে করছে, শিবসেনার মালিকানা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে যাবে উদ্ধব শিবির। শনিবার উদ্ধব এবং তাঁর শিবিরের নেতা সঞ্জয় রাউতের কথাতেও সেই ইঙ্গিত মিলেছে। ১৯৬৬ সালে বালাসাহেবের হাতে প্রতিষ্ঠিত শিবসেনার প্রতীককে নির্বাচন কমিশন যে ভাবে ‘কেড়ে নিয়েছে’, তাঁকে উদ্ধব ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ এবং ‘চুরি’ বলে অভিহিত করেছেন।