পায়ে-পায়ে: ঋণ মকুব-সহ এক গুচ্ছ দাবি নিয়ে মুম্বইয়ের রাস্তায় কৃষক মিছিল। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই।
ঠানে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়েছিল গত কালই। তার পরে ১৩ ঘণ্টা ধরে পায়ে হেঁটে প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা। আজ সকালেই মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে পৌঁছে গিয়েছিলেন হাজার বিশেক কৃষক। ‘লোক সংঘর্ষ মোর্চা’-র সেই মিছিলে শামিল হয়েছিলেন একশো বছর বয়সি এক মহিলাও। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও জায়গা হয় কয়েকজনের। গোটা রাজ্য থেকে আসা চাষি, জনজাতিরা এ দিন দাবি তুলেছিলেন, কৃষি ঋণ মকুব করতে হবে। দিতে হবে জমির অধিকার।
গত মার্চে মুম্বই অচল করে দেওয়া মহামিছিলের কথা ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। তাই পরিস্থিতি সামলাতে আজ দুপুরেই রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য গিরিশ মহাজনকে আজাদ ময়দানে পাঠিয়ে দেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যসচিবের হাতে আজাদ ময়দানের সভার দাবিপত্র তুলে দেওয়া হয়। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীও আলোচনাতে বসেন। দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন ফডণবীস। আগামী তিন মাসের মধ্যে জঙ্গলের জমি দেওয়ার বকেয়া কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। ঋণ মকুব নিয়ে লিখিত আশ্বাস মেলার পরে বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন চাষিরা।
মহারাষ্ট্রের চাষিরা এ দিন এম এস স্বামীনাথনের রিপোর্টকে কার্যকর করার দাবি তুলেছিলেন। পরে চাষিদের বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে টুইট করেন স্বামীনাথন। তবে সরকারের তরফে যে ভাবে সাময়িক সমাধান সূত্র হাজির করা হয়েছে, তাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। স্বামীনাথনের মতে, ঋণ মকুবের মতো স্বল্প সময়ের ব্যবস্থার বদলে চাষিদের আয় বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত। যদি এটা না হয়, তা হলে চাষিদের বিক্ষোভ কখনও থামবে না বলেই মনে করেন তিনি। চাষিদের আর্থিক অবস্থা ফেরাতে ফসলের দাম, ফসল কেনার ব্যবস্থা ও গণবণ্টনের দিকটিতে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করেন স্বামীনাথন।