Maharashtra Assembly Election 2019

ভোটের গতি মন্থর, আশাবাদী বিজেপি জোট, নজর পশ্চিম মহারাষ্ট্রে

অধিকাংশ ভোট পরবর্তী সমীক্ষাতেই ইঙ্গিত, রাজ্যে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি-শিবসেনা জোট। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৫৯
Share:

ভোট দিচ্ছেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। ছবি: পিটিআই।

ফের কি দ্বিতীয় বারের জন্য মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, নাকি বেগ দেবে কংগ্রেস-এনসিপি জোট। এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। কারা আসবে ক্ষমতায় তারই ভাগ্য নির্ধারণ হল সোমবার। অধিকাংশ ভোট পরবর্তী সমীক্ষাতেই ইঙ্গিত, রাজ্যে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি-শিবসেনা জোট।

Advertisement

২৮৮টি আসনের ভোটগ্রহণ চলছে মহারাষ্ট্রে। এ বারের নির্বাচনে লড়ছেন ৩ হাজার ২৩৭ জন প্রার্থী। যার মধ্যে মহিলা প্রার্থী রয়েছেন ২৩৫ জন। এ দিন সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। রাজ্য জুড়ে মোট ৯৬ হাজার ৬৬১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৩.৪৬ শতাংশ।

আগের নির্বাচনের মতো এ বারেও নির্বাচনের আগে থেকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে একটা টানাপড়েন চলছিল বিজেপি-শিবসেনার মধ্যে। যদিও সেই তিক্ততার জল বেশি দূর গড়াতে দেয়নি কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি লড়ছে ১৫০টি আসনে। শিবসেনা লড়ছে ১২৪টিতে। অন্য দিকে, ১৪৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি লড়ছে ১২১টি আসনে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘বিরোধীরা পালিয়েছে’, সাইকেলে চেপে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বললেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

আরও পড়ুন: নজরে চিন, শব্দের পাঁচ গুণ বেশি গতির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পথে ভারত

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল এ দিন দাবি করেছেন, মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোট ২২৫টিরও বেশি আসন জিতবে। পিএনবি-র পর পিএমসি ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলা এবং রাজ্যে সাম্প্রতিক বন্যা-সহ বেশ কয়েকটি বিষয় কিন্তু ভাবাচ্ছে বিজেপিকে। অন্য দিকে, কংগ্রেস এই বিষয়গুলিকেই মূলধন করে এ বার ময়দানে নেমেছে। আর এই বিষয়গুলিই বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে কংগ্রেস-এনসিপি জোটে।

এ বারের নির্বাচনে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু পশ্চিম মহারাষ্ট্র। ২৮৮ আসনের মধ্যে ৭০টি রয়েছে এখানেই। দু’দলেরই নজর এই কেন্দ্রের দিকে। এই কেন্দ্রে মরাঠা সম্প্রদায়ের আধিক্য রয়েছে। নিজেদের ঝুলিতে ভোট টানতে বিজেপি এখানে মরাঠা সংরক্ষণের তাস খেলেছে। কিন্তু তাদের এই চেষ্টা কি ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হবে সে দিকেই নজর রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহলের। অন্য দিকে, এই অঞ্চল থেকেই নিজেদের ভোট টেনে নিতে চেষ্টায় কোনও ফাঁক রাখতে চাননি এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। কিন্তু শেষ হাসি কে হাসবেন এখন সেটাই দেখার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement