প্রতীকী ছবি।
মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে রসায়নবিদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূলচক্রী-সহ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বিজেপির সাসপেন্ডেড (নিলম্বিত) জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে নেটমাধ্যমে পোস্ট করার ‘অপরাধে’ ৫৪ বছর বয়সি প্রহ্লাদরাও কোলহেকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পুলিশ সূত্রে খবর, কোলহেকে হত্যায় মূলচক্রী ইরফান খানকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালান। গ্রেফতার করা হয়েছে বছর চুয়াল্লিশের পশু চিকিৎসক ইউসুফ খানকেও।
শনিবার রাতে নাগপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইরফানকে। শুক্রবার রাতে অমরাবতী থেকে ধরা হয় ইউসুফকে। অমরাবতী শহরের পুলিশ কমিশনার আরতি সিংহ বলেছেন, ‘‘ইরফানের সংস্থায় ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
আগে এই ঘটনায় পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে কয়েক জন ইরফানের বন্ধু বলে পুলিশের দাবি। অমরাবতীর ডিসিপি (ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ) বিক্রম সালি বলেছেন, ‘‘নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করেছিলেন কোলহে। তার জেরেই প্রতিশোধস্পৃহা থেকে তাঁকে খুন করা হয়।’’
অমরাবতীর কোতোয়ালি থানার এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘অমরাবতী শহরে একটি ওষুধের দোকান চালান কোলহে। নূপুর শর্মার মন্তব্যের সমর্থনে কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ওই পোস্টটি কোলহে সংখ্যালঘুদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও পাঠিয়েছিলেন।’’ পুলিশের দাবি, এর পরই কোলহেকে খুনের পরিকল্পনা কষা হয়। ইরফানই ওই পরিকল্পনার মূলচক্রী। রসায়নবিদকে খুনের জন্য বাকি পাঁচ অভিযুক্তকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ‘প্রলোভন’ দেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২১ জুন রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে খুনের ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় দোকান থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন কোলহে।