বাঁ দিক থেকে, উদ্ধব ঠাকরের, শরদ পওয়ার এবং মল্লিকার্জুন খড়্গে। —ফাইল ছবি।
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র তিন শরিক কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি) এবং শরদ পওয়ারের এনসিপির (এসপি) আসন রফা কার্যত চূড়ান্ত হয়ে গেল মঙ্গলবার। শরদের মধ্যস্থতার বিদর্ভ এবং বৃহত্তর মুম্বই এলাকার আসনগুলি নিয়ে কংগ্রেস ও উদ্ধব শিবিরের মতবিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে বলে বিরোধী জোটের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
ওই সূত্রের দাবি, মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১০৫-১১০টি, উদ্ধবসেনা ৯০-৯৫টি এবং এনসিপি(শরদ) ৭৫-৮০টিতে লড়বে। কয়েকটি আসন ছাড়া হতে পারে সমাজবাদী পার্টিকেও। লোকসভা ভোটে ‘পারফরম্যান্সের’ আনুপাতিক হিসাব করেই এই রফাসূত্র তৈরি করেছেন শরদ। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে ৩০টিতে জিতেছিল মহাবিকাশ আঘাড়ী। কংগ্রেস ১৭টিতে লড়ে ১৩, উদ্ধবসেনা ২১টিতে লড়ে ৯টি এবং এনসিপি(শরদ) ১০টি লড়ে আটটিতে জয় পায়। ভোটের পরে সাংলি কেন্দ্রে জয়ী নির্দল সাংসদ কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, বৃহত্তর মুম্বই এবং পূর্ব বিদর্ভ নিয়ে এখনও কংগ্রেস-উদ্ধবসেনার টানাপড়েন রয়েছে। দু’বছর আগে একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহের জেরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারালেও এখনও দেশের বৃহত্তম পুরসভা ‘বৃহন্মুম্বই’ উদ্ধবের দখলে। অন্য দিকে, মরাঠওয়াড়ার পাশাপাশি বিদর্ভ অঞ্চলে কংগ্রেসই প্রধান বিরোধী শক্তি। এই দুই অঞ্চলে কোনও দলই সহযোগীদের আসন ছাড়তে নারাজ ছিল। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দক্ষিণ মুম্বইয়ের একটি হোটেলে শরদ, উদ্ধব এবং কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতিতে প্রায় ন’ঘণ্টার বৈঠকে রফাসূত্র স্থির হয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বরে এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’ এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে।