একনাথ শিন্ডে। বাড়ি ফিরতেই স্বাগত জানালেন স্ত্রী লতা। ছবি সৌজন্য টুইটার।
স্বামীর সাফল্যে নিজের খুশি ধরে রাখতে পারলেন না। সদ্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তাঁর স্বামী। রাজনৈতিক উত্থান-পতনের সেই পর্ব কাটিয়ে নিজের বাংলোয় ফিরেছিলেন মঙ্গলবার। স্বামীকে স্বাগত জানাতে স্ত্রী মহাসমারোহের আয়োজন করেছিলেন। ব্যান্ড পার্টি, ড্রামার নিয়ে এসে স্বামীকে স্বাগত জানালেন তিনি। শুধু তাই-ই নয়, আনন্দে আত্মহারা হয়ে নিজেও ড্রাম বাজালেন।
সদ্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন একনাথ শিন্ডে। গত এক মাস ধরে চলা মহারাষ্ট্রের রাজনীতির দোলাচলে গা ভাসানোর কারণে ঠাণের বাংলোয় ফেরা হয়নি তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই পরিবারের সঙ্গে একটু সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন শিন্ডে। সোমবার তিনি বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে চাপ গিয়েছে। এ বার একটু নিশ্চিন্তে নিশ্বাস নিতে চাই। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য কিছুটা সময় চাইছি।” সরকারের মন্ত্রিসভা গঠনের প্রসঙ্গ উঠতেই এ কথা বলেন শিন্ডে।
মঙ্গলবার ঠাণের বাংলো ‘শুভদীপ’-এ ফিরেছেন শিন্ডে। স্বামীর ‘যুদ্ধ জয়’কে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই নানা রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখে ছিলেন স্ত্রী লতা। শিন্ডের রাজনৈতিক জীবনের পুরোটাই জুড়ে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। শুধু রাজনীতি নয়, পরিবারের সমস্ত সিদ্ধান্তেও লতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। শিন্ডের জীবনের যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি নিজে হাতে সামাল দেন লতা। যে হেতু শিন্ডের রাজনৈতিক জীবনেও লতার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে, তাই স্বামীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আনন্দে নিজের আবেগকে চেপে রাখতে পারেননি লতা। সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে তাঁর ড্রাম বাজানোর মধ্যে দিয়ে।
একনাথ এবং লতার তিন ছেলে। দীপেশ, শুভারা এবং শ্রীকান্ত। কিন্তু ২০০০ সালে নৌকা দুর্ঘটনায় দুই ছেলে দীপেশ এবং শুভারার মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই অবসাদে চলে গিয়েছিলেন একনাথ। সেই দুর্ঘটনায় শ্রীকান্ত বেঁচে গিয়েছিল। স্বামীর ওই অবস্থা স্বচক্ষে দেখতে পারছিলেন না লতা। তাই তাঁকে অবসাদ থেকে বার করে আনতে রাজনীতির দুনিয়ায় টেনে আনেন তিনি। আর স্বামীর সেই রাজনৈতিক জীবনে জয় যে তাঁরই জয়, আর সেই জয়কে উপভোগ করতে নিজে হাতেই স্বামীকে স্বাগত জানাতে মহাসমারোহের আয়োজন করেছিলেন লতা।