উত্তরপ্রদেশ এখন ভয়মুক্ত, দাবি যোগী আদিত্যনাথের। ফাইল চিত্র।
দুষ্কৃতী, মাফিয়াদের আর ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ওরা এখন অতীত হয়ে গিয়েছে। এখানে কোনও ‘দাদাগিরি’র জায়গা নেই। উত্তরপ্রদেশ এখন পুরোপুরি নিরাপদ। সাহারানপুরের এক জনসভা থেকে নিজের রাজ্যের অপরাধের বিরুদ্ধে ছবিটা তুলে ধরতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর কথায়, “এখন থেকে আর কোনও মাফিয়া বা দুষ্কৃতীকে ভয় পতে হবে না। ওরা এখন অতীত হয়ে গিয়েছে। আজ উত্তরপ্রদেশ পুরোপুরি ভয়মুক্ত।”
আগের সরকারের আমলের ছবি, আর তাঁর সরকারের আমলে অপরাধের ছবির তুলনাও টেনে এনেছেন যোগী। তাঁর কথায়, “আগে রাজ্যের মেয়েরা দুষ্কৃতীদের ভয়ে দূরে কোথাও পড়তে যেতে পারতেন না। কিন্তু এখন ছবিটা পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের আইন, শাসনব্যবস্থা এবং অপরাধ দমনে সরকারের ভূমিকা আজ গোটা দেশের কাছে একটা উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।” তাঁর সরকারের শাসনে রাজ্যে কোথাও দাঙ্গা হয় না, কারও চোখরাঙানিকে মেনে নেওয়া হয় না বলেও মন্তব্য করেছেন যোগী।
আগে যেমন উত্তরপ্রদেশ বলতেই মাফিয়া, দুষ্কৃতীদের গড় বলে পরিচয় উঠে আসত, এখন সেই ছবিটাও বদলে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন যোগী। তাঁর কথায়, “আজ উত্তরপ্রদেশকে দুনিয়া মাফিয়ারাজের জন্য চেনে না, উত্তরপ্রদেশকে গোটা দুনিয়া চেনে সংস্কৃতি এবং উৎসবের জন্য।”
সাহারানপুরে দাঁড়িয়ে সেই শহরের আগের ছবি এবং বর্তমান ছবির প্রসঙ্গও তুলেছেন যোগী। ২০১৭ সালের আগে এই শহরটির উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাঁর সরকার এই শহরের উন্নয়নে জোর দিয়েছে। যোগীর কথায়, “সাহরানপুরকে যে ভাবে উপেক্ষা করা হত, তা আমি খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করেছি। এখানকার বাসিন্দারা ঠিক মতো বিদ্যুৎ পেতেন না। হিংসা, দাঙ্গা নিত্য দিন লেগে থাকত এই শহরে। কিন্তু আজ, কোথায় পৌঁছে গিয়েছে সাহারানপুর। কোনও হিংসা নেই, কোনও দাঙ্গা নেই।” শুধু বিজেপি সরকারের প্রশংসাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রাজ্যের উন্নয়নের উপরেও যে বরাবর জোর দিয়েছেন সেই কথাও যোগী তুলে ধরেছিলেন এই জনসভা থেকে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক মহলে এই বার্তাই ঘুরপাক খাচ্ছে যে, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই তার আগে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে এবং মোদীকে সামনে রেখেই উত্তরপ্রদেশে ভোট প্রচার করতে চাইছে বিজেপি।