গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
মধ্যপ্রদেশে অত্যাচারের শিকার হলেন ২১ বছরের এক বিবাহিতা যুবতী। দিন কয়েক আগে ভোপালের গুনগা এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। নির্যাতিতা শাজাপুরের বাসিন্দা। ওঝার কাছে চিকিৎসা করানোর নামে তাঁকে ভোপালে নিয়ে আসেন তাঁর স্বামী এবং খুড়তুতো দাদা। সেখানেই তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। দাদা ধর্ষণ করার সময় ভিডিয়ো করার অভিযোগ উঠেছে যুবতীর স্বামীর বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি নিয়ে গুনগা থানার আধিকারিক রমেশ রাই বলেছেন, ‘‘দু’বছর আগে ওই যুবতীর বিয়ে হয়েছিল। ওঝার কাছে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা করানোর নামে স্বামী এবং দাদা তাঁকে গুনগার কদমপুর এলাকায় নিয়ে আসে। সেখানে ওই যুবতীর এক কাকিমার বাড়িতে উঠেছিলেন তাঁরা।’’
পুলিশে করা অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে দিন দু’য়েক থাকার পর তাঁকে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। সেখানেই স্বামীর সাহায্যে খুড়তুতো দাদা তাঁকে ধর্ষণ করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই যুবতী। স্বামীর বিরুদ্ধে সেই ঘটনার ভিডিয়ো করার অভিযোগও এনেছেন তিনি।
এই ঘটনার কথা ওই কাকিমাকে জানিয়েছিলেন যুবতী। অভিযোগ, এ কথা শোনার পর তিনি ওই যুবতীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। বাড়ি ফিরে শাশুড়িকে জানালে সেখানেও জোটে ভর্ৎসনা। পুলিশ জানিয়েছে, এই সব ঘটনার কয়েক দিন পর বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হন নির্যাতিতা। যুবতীর বাপের বাড়ির লোক ঘটনার কথা পুলিশকে জানায়। এর পর ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।