মহুয়ার বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বিজেপি। ফাইল চিত্র।
দেবী কালীকে নিয়ে তাঁর মন্তব্যের জন্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে। বুধবার কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে ভোপালের একটি থানায় অভিয়োগ দায়ের হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ ধারায় এই মামলা করেছে মধ্যপ্রদেশের অপরাধ দমন শাখা। অন্য দিকে, মহুয়ার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
বুধবার মহুয়ার মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান মন্তব্য করেন, ‘‘ওঁর মন্তব্য হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। আমরা কোনও ভাবেই হিন্দু দেবদেবী সম্পর্কে এমন মন্তব্য বরদাস্ত করব না।’’ এর পরেই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় ভোপালে।
প্রসঙ্গত, মহুয়াকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ভারতীয় পরিচালক লীনা মানিমেকালাইয়ের একটি তথ্যচিত্রের পোস্টার নিয়ে। সেখানে মা কালী রূপে এক মহিলাকে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছে। এই নিয়ে চলা বিতর্কের মধ্যে গত সোমবার কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে মহুয়াকে প্রশ্ন করা হলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। শুরু হয় রাজনৈতিক তরজার। যদিও সাংসদের বক্তব্যকে সমর্থন করেনি তাঁর দল। এর পর মহুয়াও তৃণমূলের টুইটার পেজ আনফলো করেন।
বুধবার মহুয়ার গ্রেফতারির দাবিতে কলকাতায় পথে নামে বিজেপি। বৌবাজার থানায় কৃষ্ণনগর সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, হিন্দুদের দেবীকে অপমান করেছেন মহুয়া। ১০ দিনের মধ্যে রাজ্যের পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ১১তম দিনে তিনি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। শুভেন্দু আবার এই প্রসঙ্গে তুলে আনেন বিজেপির নিলম্বিত নেত্রী নূপুর শর্মার প্রসঙ্গ। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কলকাতায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। পরে নূপুরের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করে কলকাতা পুলিশ। মহুয়ার বিরুদ্ধেও কেন এমন কোনও পদক্ষেপ হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। তিনি এও জানান, এর পর এ নিয়ে মহুয়ার লোকসভা এলাকায় গিয়ে সভাও করবেন।
যদিও এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে টুইট করে মহুয়া জানান, তিনি নিজে ‘মা কালী’র উপাসক। বিজেপির ‘গুন্ডামি’তে ভয় পান না।